লিবিয়ার বিদ্রোহীরা এখন লিবিয়ায় সরকারের সামরিক বাহিনীর ওপর আন্তর্জাতিক অভিযানের সুযোগ নিয়ে সেই সব অঞ্চলে প্রবেশ করছে যেগুলো তারা গত ১০ দিনে হারিয়েছিল।

আজ তারা আবার সংগঠিত হয়ে আদজাবিয়ায় লিবিয়ার নেতা মোয়াম্মার গাদ্দাফির প্রতি অনুগত সৈন্যদের অবস্থানে আক্রমণের জন্যে এগিয়ে গেছে।

তবে মিসরাটায় বিরোধী সুত্রগুলি বলেছে যে সরকারী বাহিনী পশ্চিমের ঐ শহরের সীমারেখায় হয়রানি করছে এবং বিদেশি বাহিনীর অভিযানের মুখে অসামরিক লোকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিয়োগ রয়েছে। লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে গাদ্দাফি পন্থি সৈন্যরা গতকাল মিত্র বাহিনীর বিমান হামলায় তাদের নেতার একটি বিধ্বস্ত ভবন পরিদর্শন করে।

এটা পরিস্কার নয় যে ঐ আক্রমণের সময়ে কেউ অহত হয়েছে কী না তবে লিবিয়ার সরকার দাবি করছে যে জোট বাহিনীর ঐ  বিমান অভিযানে শনিবার থেকে বেশ অনেক লোক নিহত হয়েছে।

জাতিসংঘ অনুমোদিত বিমান উড়ান মুক্ত আকাশ সীমা বা নো ফ্লাই জোন নিশ্চিত করতে যুক্তরাস্ট্র ব্রিটেন , ফ্রান্স এবং অন্যান্য মিত্র রাষ্ট্রের সঙ্গে লিবিয়ার অসামরিক লোকজনকে গাদ্দাফির অনুগতদের হাত থেকে  রক্ষার জন্যে বিমান অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে  জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিওডো ওয়েস্টারওয়েল ব্রাসেলস এ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের বলেন তিনি বলেন যে এর মানে এই নয় যে আমরা নিরপেক্ষ কিংবা স্বৈরশাসক গাদ্দাফির প্রতি আমাদের কোন সহানুভূতি আছে। তবে আমরা এর মধ্যে ঝুকির বিষয়টাও দেখি।

ভয়েস অফ আমেরিকা