লিবিয়ার বানি ওয়ালিদ এবং সিয়ার্ত শহরে প্রচন্ড লড়াইয়ের মধ্যে আটকে পড়া প্রায় দু লাখ বেসামরিক মানুষের নিরাপত্তার ব্যাপারে নেটো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।নেটো বলছে, কর্ণেল গাদ্দাফির অনুগত সৈন্যরা এই দুটি শহরের বেসামরিক জনবসতির মধ্যে লুকিয়ে আছে। ফলে সেখানে বেসামরিক মানুষের জীবনের ঝুঁকি বাড়ছে।

নেটোর একজন মুখপাত্র কর্ণেল রোল্যান্ড ল্যাভি বলেন, দুটি শহরেই খাবার, পানি এবং ঔষধের সংকট দেখা দিয়েছে।উল্লেখ্য, লিবিয়ার কেবল এই দুটি শহরই এখনো কর্ণেল গাদ্দাফির অনুগত বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।লিবিয়ার অন্তর্বর্তাকালীন সরকার ন্যাশনাল ট্রানজিশন্যাল কাউন্সিল বলছে, বানি ওয়ালিদ এবং সিয়ার্ত শহরের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

নেটোর মুখপাত্র কর্ণেল রোল্যান্ড ল্যাভি বলেন, গাদ্দাফির অবশিষ্ট সৈন্যরা এখনো পর্যন্ত পরাজয় মানতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। পরাজয় এড়াতে মরিয়া হয়ে তারা এখন বেসামরিক লোকজনের মধ্যে গিয়ে লুকিয়ে আছে।নেটো এবং ত্রাণ সংস্থাগুলো হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে দুটি শহরে বেসামরিক মানুষ যে অবস্থার মধ্যে বাস করছে তা ক্রমশ আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।সিয়ার্ত শহর থেকে বেসামরিক লোকজন পালাতে শুরু করেছে। খাবার পানির সংকটের কারণে সেখানে লোকজন পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।”এখানে খাবার নেই, পানি নেই, বিদ্যুত নেই। আমরা কেবল রুটি খেয়ে বেঁচে আছি”, বলছিলেন সিয়ার্তের একজন বাসিন্দা সারাজ আল তুয়েইশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সিয়ার্তে চরম অরাজক অবস্থা। বিদ্রোহীরা চারদিক থেকে শহরটিতে ঢোকার চেষ্টা করছে।কিন্তু গাদ্দাফি সমর্থকরা তাদের দিকে ভারী গোলাবর্ষণ শুরু করে।কর্ণেল গাদ্দাফি এখনো লিবিয়ার বানি ওয়ালিদ বা সিয়ার্ত শহরে লুকিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু তাঁর অনেক ঘনিষ্ট সহযোগী ইতোমধ্যে লিবিয়া ছেড়ে পালিয়েছেন।