ইরাকে নিযুক্ত সিরিয়ার রাষ্ট্রদূত নাওয়াহ আল ফারেস সরকারের পক্ষ ত্যাগ করেছেন। বুধবার ফেইসবুকে দেওয়া এক ভিডিওবার্তায় তিনি সরকারের পক্ষ ত্যাগ করে বিরোধী পক্ষে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দেন।

দেশটিতে বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে ১৬ মাস ধরে চলমান আন্দোলন দমনে সরকারের দমন-পীড়নের প্রতিবাদে তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।

ভিডিওবার্তায় ফারেস বলেন, “আমি ঘোষণা করছি, এই মাস থেকে আমি সিরিয়ার বিপ্লবী জনতার সঙ্গে যোগ দিয়েছি।”

তিনি আরো বলেন, “আমি সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রতি বিপ্লবে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে দেশ ও জনগণকে রক্ষার আহ্বান জানাচ্ছি। আরো আহ্বান জানাচ্ছি, আপনার অস্ত্র সরকারের চক্রান্তকারী অপরাধীদের বিরুদ্ধে তাক করুন।”

ফারেস বলেন, “এই দুঃস্বপ্ন ও দেশজুড়ে গোষ্ঠীবদ্ধ দুর্নীতির শেকড় উপরে ফেলতে সিরিয়ার প্রত্যেক নাগরিককে বিপ্লবে যোগ দিতে হবে। গুঁড়িয়ে দিতে হবে ৪০ বছরেরও অধিক সময় ধরে সিরিয়ায় চাপিয়ে দেওয়া রাষ্ট্রীয় ভাবনা ও সমাজ ব্যবস্থা। আগামী প্রজন্মের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে।”

সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর ঘনিষ্ঠ ফারেস দেশটির প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে সরকারের পক্ষ ত্যাগ করার ঘোষণা দিলেন।

এ ব্যাপারে দামেস্ক বা বাগদাদের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয় নি। তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, পক্ষত্যাগের এই বিষয় সম্পর্কে তারা নিশ্চিত নয়। তবে এই ভিডিওবার্তাটি তিনি কোথা থেকে দিয়েছেন তা তিনি বলেন নি।

ফারেসের এই পক্ষত্যাগকে স্বাগত জানিয়েছে আসাদ সরকার বিরোধী পক্ষ। মোহামেদ সারমিনি নামে আসাদবিরোধী পক্ষের এক সদস্য বলেছেন, “কূটনৈতিক পর্যায়ে ধারাবাহিক পক্ষ ত্যাগের সূচনা হলো মাত্র। বেশ কয়েকজন কূটনীতিক আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।”

আসাদ পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক জেনারেল সরকারের পক্ষ ত্যাগের এক সপ্তাহের মধ্যেই কূটনৈতিক পর্যায়ে এই ঘটনা ঘটলো।