সিরিয়ায় সরকারবিরোধী অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ১৭ জনকে হত্যা করেছে।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সরকারবিরোধী অভিযান বন্ধে আসাদ সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত থাকলেও গতকাল শুক্রবার দেশব্যাপী নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের অনেকেই সিরিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিহত হয়েছেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটি বলেছে, হামা শহর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে হিফায়া শহরে নিরাপত্তা অভিযানের সময় ৪ ব্যক্তি নিহত এবং ১১ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। হামা প্রদেশের একটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে। অবজারভেটরি জানিয়েছে উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় জেবেল আল জাউইয়াতেও নিরাপত্তা বাহিনীর আটকের পর ৩ ব্যক্তি নিহত হয়েছে। হামা নগরীর কাছের একটি শহরে ঢুকে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালিয়ে ৬ অধিবাসীকে হত্যা করেছে। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর নিয়মিত সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমন এবং তল্লাশি অভিযান চালাতে নিরাপত্তা বাহিনী সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হিলফায়া এলাকায় ঢুকে এ ঘটনা ঘটায় বলে জানিয়েছে আন্দোলনকর্মীরা। তারা জানিয়েছে, বাস-ট্রাকে করে মেশিনগান নিয়ে সেনা ও নিরাপত্তা পুলিশ হিলফায়ায় প্রবেশ করে। তারা দু ঘণ্টা সেখানে থেকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে অধিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হোমস শহরে কয়েক হাজার জনতা সমাবেশের জন্য সমবেত হলে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি করে দু ব্যক্তিকে হত্যা করে বলে সরকারবিরোধীরা জানিয়েছে। দামেস্কেও এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া জেবেল আল জাউইয়া এবং হোমস থেকে আটটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, দেরা প্রদেশে অভিযানের সময় এক নিরাপত্তা কর্মী নিহত এবং ৪ জন আহত হয়েছে। সেনারা গত সপ্তায় হামার চারপাশে বড় ধরনের দমনাভিযান শুরু করেছে। তা বিস্তৃত হয়েছে পশ্চিমেও। আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে সিরিয়ায় চলছে এ দমনাভিযান। গত ২ দিনে সেনা ও সাঁজোয়া যান অগ্রসর হয়েছে তুরস্ক সীমান্তবর্তী জাবাল আল-জাউইয়া এলাকায়।