গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিরোধী দল বিএনপি। দলেরর স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, ক্ষমতায় গেলে এই অধ্যাদেশ বাতিল করে দরিদ্র্য গ্রামীণ নারীদের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
মওদুদ বলেন, “এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের ৮০ লাখ গরীব নারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। অধ্যাদেশটি জারির ফলে অন্যান্য রাষ্টায়াত্ব ব্যাংকের মতো গ্রামীণ ব্যাংকও সরকার নিয়ন্ত্রণ করবে।”
“তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি থাকবে, অবিলম্বে এই অধ্যাদেশ প্রত্যাহার করুন। গরীব নারীদের ক্ষমতা তাদের হাতে ফিরিয়ে দিন। নইলে আগামী নির্বাচনে ব্যাংকটির গরীব নারীরাই ভোটের মাধ্যমে এর জবাব দেবে।”
আর সেক্ষেত্রে আগামীতে ক্ষমতা গেলে বিএনপি গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশ বাতিল করে ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নারীদের কাছে ফিরিয়ে দেবে বলে মন্তব্য করেন দলেটির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।
‘নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব: জনগণের শংঙ্কা’ শীর্ষক সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মেজর অব. এমএম মেহবুব রহমান।
গত ২ অগাস্ট মন্ত্রিসভা গ্রামীণ ব্যাংক আইন সংশোধনের এই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেওয়ার পর সরকার বৃহস্পতিবার সংশোধিত গ্রামীণ ব্যাংক আইন অধ্যাদেশ আকারে জারি করে।
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ইউনূসের অভিযোগ, সরকার মনোনীত চেয়ারম্যানের কর্তৃক এমডি নিয়োগের মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ রএ সদস্যদের কাছ থেকে ‘কেড়ে’ নেওয়া হচ্ছে।
তবে সরকারের দাবি, এমডি নিয়োগে স্বচ্ছ্বতা আনতেই আইন সংশোধনের এ উদ্যোগ।
মওদুদ আহমদ বলেন, “নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে গরীব নারীদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছেন। গ্রামীণ ব্যাংক সেজন্যই বিশ্বব্যাপী একটি মডেল হিসেবে বিবেচিত। আজ সরকার এই ব্যাংকের গরীব নারীদের ক্ষমতা খর্ব করতে অধ্যাদেশ জারি করেছে।”
সরকার প্রতিহিংসামূলকভাবে ইউনূসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।