আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও শিবিরের মধ্যে মঙ্লবার সারারাত ধাওয়া-পল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাহ জালাল হলে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ শিবিরের ৪২ নেতাকর্মী ও সমর্থককে আটক করেছে।

বুধবার ভোরেও পুলিশ দুই ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযান চালানো হয়। এসময় পুলিশ তাদের কাছে থেকে কিছু জিহাদি বই উদ্ধার করে। আটককৃতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হচ্ছেন, শিবিরের শাহজালাল হলের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সভাপতি খায়রুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আকবর ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন।

মঙ্গলবার গভীর রাতে কক্ষের দখল নিয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র হলে ছাত্রলীগ-ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা মহড়া দেয়। এদিকে উভয় পক্ষের উত্তেজনা চলাকালে ফাঁকা গুলি বর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে। ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবির এ জন্য পরস্পরকে দায়ী করেছে।

সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সহ সভাপতি সাফায়েত বিল্লাহ বাদি হয়ে ৩০ শিবির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১০ জনকে আসামি করে হাটহাজারী থানায় একটি মামলা করা হয়।মামলার বিষয়টি হাটহাজারী থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের এ ঘটনার জের ধরে ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।