শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ-সংক্রান্ত খবর পাওয়ার পরপরই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমরা ব্যাখ্যা চেয়েছি।’ এ ব্যাপারে বিশেষ প্রতিনিধি পাঠানো হচ্ছে বলেও তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার দেশের স্বার্থ সংরক্ষণে যথেষ্ট সচেতন। আর দেশের স্বার্থ কীভাবে রক্ষা করতে হয়, তাও আওয়ামী লীগের জানা আছে।বুধবার সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সাংসদ মোহাম্মদ ফজলুল আজিমের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে টিপাইমুখ নিয়ে এক কথা বলে আবার বিরোধী দলে থাকলে আরেক কথা বলে। প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পানিসম্পদমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, তিনি সেই সময় বলেছিলেন, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ হলে বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না। অথচ এখন চিঠি দেওয়াসহ আন্দোলন-হরতালের কথা বলছেন।
তিস্তা পানি চুক্তি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছি, আলোচনা চলছে। আজ হোক, কাল হোক, তিস্তা চুক্তি হবেই। আমরা যখন ধরেছি, তখন করবই।’ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বছর শুনে আসছি এ চুক্তি গোলামি চুক্তি। অথচ বিরোধী দল এখন দাবি করছে এই চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি কেন?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে গঙ্গার পানির হিস্যা এনেছি; সীমানা চুক্তি করেছি।’ বিরোধী দলের নেতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এতে করে বেশ কিছু জায়গাও দখল করতে পেরেছি।’