নারাযণগঞ্জের নির্বাচনী এলাকার সম্ভাব্য প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাদের নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের কাছে। চলছে অবিরাম গণসংযোগ, প্রচার-প্রচারণা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের মেয়র পদে প্রার্থী করতে পারেনি। বিরোধী দল বিএনপির একক পার্থী থাকলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে। বিরোধী দলেও বিদ্রোহী প্রার্থীর কথা শোনা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ থেকে পৌরসভার সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান এবং বিএনপি থেকে জেলা বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার মেয়র হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। নারাযণগঞ্জের নির্বাচনী এলাকার সবার প্রত্যাশা একটা সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠান।
অপরদিকে  বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে আওয়ামী লীগ বিএনপির নানা গুঞ্জন রয়েছে।  কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী? সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী না সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা নিয়ে জটিলতা দলের নেতাকর্মীদের দ্বিধাদ্বন্দ্বে ফেলে রেখেছে। দলের সমর্থন সম্পর্কে ডা. আইভী সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, তাকেই দল থেকে সমর্থন দেয়া হবে। যদি দল তাকে সমর্থন না দেয় তাহলেও তিনি মেয়র নির্বাচন করবেন। কারণ সাধারণ মানুষ তাকে চায়। মানুষের পাশে ছিলেন এবং ভবিষ্যতেও থাকতে চান। অন্যদিকে এ কে এ শামীম ওসমান বলেছেন, দল তাকেই সর্মথন দেবে। তা না হলে তিনি দল যাকে মনোনীত করবে তার জন্য কাজ করবেন। তারা দুজনেই আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে গত কয়েকমাস যাবৎ সভা-সমাবেশ করেছেন ।
 নারায়ণগঞ্জ পৌরসভায় সর্বশেষ মেয়র হিসেবে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী দায়িত্ব পালন করেন।  এ সময় শহরের ব্যাপক উন্নয়ন কাজের জন্য তিনি নগরবাসীর কাছে নন্দিত হন।  অপরদিকে শহরের রাজনৈতিক পরিবারের উত্তরাধিকার এ কে এম শামীম ওসমান ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার বাবা প্রয়াত এ কে এম শামসুজ্জোহা দুবার জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন। দুই সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা।  বিএপির প্রার্থী হিসেবে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার একপ্রকার নিশ্চিত হয়েছেন। তবে দলের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন প্রার্থী হবেন, যদি শামীম ওসমান আওয়ামী লীগ থেকে সমথর্ন লাভ করেন। গত ২০০১ সলের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শামীম ওসমানকে গিয়াস উদ্দিন প্রায় ৪০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন।
 দুই মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার দাবি করেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের রদবদল জরুরি। বর্তমান জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার নিরপেক্ষ নয়। 
এদিকে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিয়োজিত রিটার্নিং অফিসার বিশ্বাস লুৎফর রহমানসহ নয়জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার গতকাল শুক্রবার থেকে তাদের কাজ শুরু করেছেন।