বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, “বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দলীয়ভাবে নয়, জাতীয়ভাবে ড. ইউনূসকে স্বীকৃতি দেয়া হবে, তাকে সম্মানিত করা হবে। সব শ্রেণীর মানুষকে নিয়ে তার হারানো গৌরব ফিরিয়ে দেয়া হবে।”

রোববার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ প্রজন্ম একাডেমী আয়োজিত ‘রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের শিকার নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সংগঠনের উপদেষ্টা মেজর অব. মেহবুব রহমানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি নেতা আবদুল মতিন প্রধান প্রমুখ।

সরকারের উদ্দেশে মওদুদ বলেন, “এই প্রতিহিংসা, ব্যক্তিহিংসা বন্ধ করুন। অধ্যাপক ইউনূসকে আর অপমান করবেন না। কারণ তাকে অপমান করলে জাতি হিসেবে আমাদের ছোট করা হয়। আপনারা যতই চেষ্টা করুন তাকে নীচে নামাতে পারবেন না। উল্টো আপনারা নীচে নেমে যাবেন।”

তিনি বলেন, “কোন কারণে তাকে অপমান করা হয়। এটা হীনম্মন্যতা নাকি বিদ্বেষ? নাকি কোনো ‘একটি মানুষের’ কারণে এটি করা হচ্ছে।”

সরকার যতকিছুই করুক ড. ইউনূসকে ছোট করতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন মওদুদ।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে জন্য সরকার সংবিধান সংশোধন করতে বাধ্য হবে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “ড. ইউনূসকে অপমানের জবাব আগামী নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে জনগণ সরকারকে দেবে।”

তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার একটার পর একটা জাতির জন্য কলঙ্ক এনেছে। পদ্মা সেতুর দুর্নীতির কারণে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ একটি দুর্নীতিবাজ দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।”

মওদুদ বলেন, “পদ্মা সেতুর প্রকল্প শেষ। এ সরকারের আমলে এ সেতু হবে না। অথচ সরকার এ প্রকল্পের জন্য চাঁদা তোলা শুরু করেছে।”

“সরকারের লজ্জা ও আত্মসম্মানবোধ নেই’ এমন মন্তব্য করে মওদুদ বলেন, “ঘুষ আর দুর্নীতির কারণে সারাবিশ্বে সরকার এখন একঘরে হয়ে গেছে।” সবাইকে শত্রু মনে করায় সরকার সারাবিশ্বে বন্ধুহীন হয়ে পড়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।