বিশ্বব্যাংকের কাছে চলতি অর্থবছরে অন্তত ৫০০ মিলিয়ন ডলার মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তার জন্য অর্থ সহায়তা চাইবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ উদ্দেশ্যে গতকাল রাতে মন্ত্রী ঢাকা ছেড়েছেন। গত অর্থবছর বাজেট সহায়তা হিসেবে ৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ সহায়তা দেয়ার কথা থাকলেও বিশ্বব্যাংক ওই অর্থ ছাড় করেনি।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বিশ্বব্যাংকের বোর্ডসভায় ঋণ সহায়তা নিয়ে আলোচনা হবে। তারা ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সালের জন্য এ ৩ বছরে আমাদের বিভিন্ন উন্নয়ন ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর বাইরে বাজেট ঘাটতি মেটাতে আমরা সহায়তা চাইব। বিশ্বব্যাংকের কাছে কী পরিমাণ সহায়তা চাওয়া হতে পারে জানতে চাইলে মুহিত জানান, যদি ১ বছরের বাজেট সহায়তা চাওয়া হয় তবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার চাইব আমরা; আর যদি তার বেশি সময়ের জন্য হয় তবে ১ বিলিয়নের বেশি সহায়তার জন্য দর কষাকষি করব।
গত অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক কোন বাজেট সহায়তা দেয়নি বাংলাদেশকে। অভিযোগ রয়েছে সরকারের ক্রয়নীতি শিথিল করার ক্ষেত্রে বড় এই দাতা সংস্থাটির আপত্তি ছিল। আপত্তি উপেক্ষা করায় তারা বাজেট সহায়তার ক্ষেত্রে পিছিয়ে যায়। তবে চলতি অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি বেড়েছে। পাশাপাশি আমদানি ব্যয় বাড়ায় চলতি হিসাবের ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ অবস্থায় কাঙ্ক্ষিত বৈদেশিক সহায়তা না পাওয়া গেলে অভ্যন্তরীণ খাতে ঋণ আরও বেড়ে যাবে। এরইমধ্যে ব্যাংকিং খাতে সরকারের ঋণ আশঙ্কাজনক বৃদ্ধি পেয়েছে।
চলতি বাজেটে সরকার মোট ঘাটতির পরিমাণ প্রাক্কলন করেছে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। বরাবরের মতো এটি জিডিপির ৫ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক খাত থেকে ঋণ ধরা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থায়ন ধরা হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা। বিপুল পরিমাণ এই ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণের উপর নির্ভরতা বাড়ানোর উপর পরামর্শ দিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।