বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ হয়ে সাফাই সাক্ষ্য দিতে চাইলে রোডমার্চে নয়, আদালতে গিয়ে সাক্ষ্য দেন৷

শুক্রবার রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে ‘আইনের শাসন ও গণতন্ত্রকে হত্যা’ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন৷ আওয়ামী লীগের সিনিয়র এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়া এখন কে যুদ্ধাপরাধী আর কে না, সেটার সার্টিফিকেট দিতে শুরু করেছেন৷ আওয়ামী লীগকে স্বাধীনতাবিরোধী বলছেন৷ সম্প্রতি রোডমার্চে যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে খালেদা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান সুরঞ্জিত৷ একই সঙ্গে আওয়ামী লীগে কে কে যুদ্ধাপরাধী তার প্রমাণ থাকলে দেখাতে বলেছেন৷ সুরঞ্জিত খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, এগুলো নিয়ে বেশি নাড়াচাড়া করতে গেলে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হয়ে আসবে৷

আওয়ামী লীগের এই উপদেষ্টা আরও বলেন, খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গি, একাত্তরে পরাজিতদের নিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন৷ পরাজিতদের নিয়ে যুদ্ধ করলে বিজয়ী হওয়া যায় না৷ পরাজয়ের গ্লানিই বইতে হয়৷ সুরঞ্জিত বলেন, খালেদা জিয়ার সাম্প্রতিক সময়ের বক্তব্য বিভ্রান্তিমূলক এবং জাতিকে তা বিভ্রান্ত করবে৷

এদিকে শুক্রবার রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অপর একটি অনুষ্ঠানে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, একাত্তরের ঘাতক ও জামায়াতের গর্ভ থেকেই বিএনপি নামক দলটির জন্ম৷ তাই খালেদা জিয়া যুদ্ধপরাধীদের রক্ষা করার চেষ্টা করবেন সেটাই স্বাভাবিক৷ তিনি বলেন, জামায়াতের সাবেক আমীর ও চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম এখনও বাইরে থাকলেও সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে৷

অন্যদিকে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে৷