রাজধানীতে জামায়াত-শিবির ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বিকেলে রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে মালিবাগ পর্যন্ত থেমে থেমে এ সংঘর্ষ হয়। জামায়াত শিবির মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ ধাওয়া করে। তখন এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধাওয়া ও লাঠিচার্জ করে প্রায় ৫০ জনকে আটক করেছে। অন্যদিকে, জামায়াত শিবিরের ছোড়া ইটপাথরের আঘাতে পুলিশসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। আটককৃতদের শাহবাগ ও রমনা থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, জামায়াত শিবিরের সদস্যরা মারমুখী হয়ে পুলিশকে ইটপাথর নিক্ষেপ করেছে। তখন রাস্তায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পুলিশ ও জামায়াত শিবির সূত্রমতে, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে সমাবেশের লক্ষ্যে দুপুর থেকেই জড়ো হতে থাকে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা। কিন্তু পুলিশ সকাল থেকেই সেখানে অবস্থান নেয়। জামায়াত-শিবির ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের ভেতরে সমাবেশ করতে না পারায় বিকেল ৪টায় ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা করে। তাতে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে কাকরাইল মসজিদের সামনে থেকে বিজয়নগর মোড় পর্যন্ত পুরো সড়কে। এ সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ক্যাডাররা বিভিন্ন গলিতে ঢুকে পড়ে। এখান থেকে পুলিশ ধাওয়া করে ১১ জনকে আটক করে। পরবর্তীতে জামায়াত-শিবির আবারও জড়ো হয় শান্তিনগর মোড়ে। সেখান থেকে তারা জঙ্গি মিছিল বের করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ কাঁটাতারের ব্যারিকেড দেয়। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় পুলিশ মালিবাগ মোড়ে আবারও বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। তাতেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। শুরু হয় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা মৌচাকের দিকে এগুতে থাকে। সেখানেও পুলিশের সঙ্গে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মালিবাগ মোড় থেকে বদিউজ্জামান নামে ট্রাফিক পুলিশের একজন কনস্টেবলকে মারধর করে অপহরণ করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ ওই কনস্টেবলকে উদ্ধার করতে গেলে সংঘর্ষ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও কাদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।