আপাতত জনগণকে সম্পৃক্ত করতে রোডমার্চ, লংমার্চ, গণসংযোগ, জনসভা, গণমিছিল, গণঅবস্থান, মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে দলটি। চারদলীয় জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনের দীর্ঘমেয়াদি ‘রূপরেখা’ চূড়ান্ত করা হবে। গতকাল শনিবার রাতে গুলশান কার্যালয়ে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জোট ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে শিগগিরই কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’ বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের সফর প্রসঙ্গ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল, জোট সম্প্রসারণ, বিদেশিদের সঙ্গে সম্পর্কোন্নম্নয়ন, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার দুই ছেলে তারেক রহমান এবং আরাফাত রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার ভবিষ্যৎ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এমইউ আহমেদ নিহত হওয়ার ঘটনা, দ্রব্যমূল্য, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, মহাসড়কের বেহাল দশা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয় সম্পর্কে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মতামত জানতে চান। এ সময় অধিকাংশ নেতা এখনই হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর আন্দোলনের ইস্যু ও সময় হয়নি বলে মত দেন। তারা বলেন, কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়ার আগে জনগণকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে হবে। আন্দোলন করে মাত্র আড়াই বছরের মাথায় মহাজোট সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে আগে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে সারাদেশে আন্দোলনের ঢেউ তুলতে হবে। এক্ষেত্রে নেতারা দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে রোড বা লংমার্চের কর্মসূচির ওপর জোর দেন। পথে বিভিন্ন পয়েন্টে খালেদা জিয়া সরকারের নানা ব্যর্থতা তুলে ধরে বক্তব্য দেবেন।সিলেটের টিপাইমুখ অভিমুখ অথবা উত্তরবঙ্গ জেলাগুলোর দিকে প্রথম রোডমার্চ হতে পারে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আরএ গণি, এম কে আনোয়ার, এম শামসুল ইসলাম, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, আ স ম হান্নান শাহ, ড. মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, বিরাজমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকার সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ। সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জোট ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে শিগগিরই কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।