অপর্ণার গল্প

bnn24

Bybnn24

জুলা ১২, ২০১২

ছোট্ট মেয়েটি পেয়ারা গাছে উঠে ভিমরুলের বাসায় ঢিল ছুড়েছিল। দেখার ইচ্ছা_ ভিমরুল কী করে! এমনই আগ্রহ ও অজানাকে জানার বাসনায় একদিন নাম লেখালেন লাক্স চ্যানেল আই সুন্দরী প্রতিযোগিতায়। এরপর আর নতুন কিছু নিয়ে ভাবতে হয়নি। মিডিয়া জগৎটাই তার কাছে হাজির হয়েছে নতুন নতুন রূপ নিয়ে। বলছিলাম এই সময়ের ব্যস্ত টিভি অভিনেত্রী অপর্ণার কথা। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে নিয়মিত প্রচার হচ্ছে তার অভিনীত নাটক। এনটিভিতে ‘দক্ষিণায়নের দিন’ ও ‘মায়ানিগম’, চ্যানেল নাইনে ‘আপন আপন খেলা’ এবং দেশ টিভিতে ‘রেডিও চকলেট’। এত কাজ একসঙ্গে করতে হচ্ছে, প্রচণ্ড ব্যস্ত থাকতে হয় নিশ্চয়ই; এর মধ্যে কি নিজের কাজ দেখার সুযোগ হয়? ‘হ্যাঁ’। অপর্ণা রাত জেগে হলেও নাটকের সিডিগুলো কিনে নিজেই নিজের কাজের বিচার করার চেষ্টা করেন। নিজের দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন।
অভিনয়ের ব্যাপারে অপর্ণা যে খুব সিরিয়াস, তা বোঝা গেল। তবে ব্যক্তিজীবনে অপর্ণা নাকি একেক সময় একেক রকম। ২৫ সেপ্টেম্বর জন্ম নেওয়া অপর্ণা মনে করেন, তার ওপর কখনও তুলা রাশি আবার কখনও বৃশ্চিক রাশি ভর করে! কখনও তিনি একা থাকতে পছন্দ করেন। বন্ধুদের কাছে গেলে আড্ডার মধ্যমণি হয়ে থাকেন।
বিচিত্র স্বভাবের এই মিষ্টি মেয়েটি মনে করেন, তার অভিনয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা তার বাবা। ‘বাবা মঞ্চের মানুষ, তিনিই আমার কাজের প্রশংসা, সমালোচনা এবং অনুপ্রেরণা দিয়ে আমাকে সামনের পথ দেখিয়ে চলছেন’, বললেন অপর্ণা। এ ছাড়া অভিনয়ের প্রতি আলাদা ভালো লাগা আর দর্শকের প্রশংসা তাকে অভিনয় জগতের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে।
প্রায় পাঁচ থেকে ছয় বছরের অভিনয় জীবনে তার সবচেয়ে ভালো লাগার কাজ মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ইন্টারভিউ’, আশিকুর রহমানের ‘স্বপ্নময় ও সম্মোহন’, ইফতেখান আহমেদ ফাহমি ও রেদওয়ান রনির ‘হাউজফুল’। তার স্বপ্ন, তিনি আরও ভালো কাজ করতে পারবেন।
বর্তমানে অপর্ণার সময় দিতে হচ্ছে ঈদের নাটক ও টেলিছবির কাজে। এর মধ্যে কাজ শেষ হয়েছে সত্যজিৎ রায়ের গল্প অবলম্বনে ‘অপারের স্টুডিও’, সঙ্গে আছেন ইরেশ যাকের ও
মামুনুর রশীদ; মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত টেলিছবি ‘ব্রেসলেট’ ও একক নাটক ‘ছিনতাইকারী এক ও ছিনতাইকারী দুই’। হাতে আছে ঈদের অনেক কাজ।
অপর্ণা এখন পড়াশোনার পাট চুকিয়ে পুরোপুরি অভিনয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। জীবনের শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেকে তার এই স্বপ্নের জায়গায় দেখতে চান। তার আশঙ্কা, হয়তো বিয়ের পর তার এই কর্মযজ্ঞে ভাঙন ধরতে পারে।
অপর্ণার শৈশবের দুরন্তপনার প্রমাণ হিসেবে তার হাত-পায়ে কয়েকটি দাগ এখনও রয়ে গেছে। কিন্তু তার অভিনয় জীবনে এমন কোনো দাগ যেন না পড়ে, সাফল্যে মোড়া যেন হয় তার অভিনয় জীবন।