ঈদের আগে নতুন কোন ছবি মুক্তি না পাওয়ার কারণে আগেভাগেই শুরু হয়ে গেছে অশ্লীল ছবির মহোৎসব। চলতি সপ্তাহ থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে চলছে এক সময়ের অশ্লীলতার অভিযোগে অভিযুক্ত অসংখ্য ছবি। আর এসব ছবির মাধ্যমে আবারও প্রেক্ষাগৃহে আসার সুযোগ পাচ্ছেন মুনমুন, ময়ূরী, পলি, ঝুমকা, মেঘা, নদী, মেহেদীরা। এদের সঙ্গে শাকিব, সাহারা, অমিত, আলেকদেরও অনেক অভিযুক্ত ছবি রয়েছে। শুধু পোস্টার পরিবর্তন করে এসব ছবি প্রদর্শনের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন প্রযোজক পরিবেশক এবং প্রযোজক পরিবেশক সমিতির দৃষ্টিতে ‘ভাঙ্গারি’ বলে পরিচিত কিছু অসাধু চলচ্চিত্র ব্যবসায়ী। যদিও চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির বিগত কয়েক বছরের নেতৃত্বে থাকা প্রভাবশালী নেতারাই এই ভাঙ্গারিদের সৃষ্টি করেছে। তারা নিজেরা অশ্লীল ছবি নির্মাণ করে প্রচুর অর্থ কামাই করার পর টাস্কফোর্সের অভিযানে আতঙ্কিত হয়ে নিজেদের রক্ষা করার জন্য কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কাছে ছবিগুলো বিক্রি করে দেন। এতে করে তারা অশ্লীলতা বন্ধে গঠিত টাস্কফোর্সের হাত থেকে রক্ষা পেলেও যারা ছবি কিনেছেন তারা বেশ কিছুদিন আত্মগোপনে থাকেন। এরপর বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এসব অসাধু ব্যবসায়ী আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেন। ধীরে ধীরে শুরু করেন অশ্লীল ছবির প্রদর্শন।

 

প্রথমে ঢাকার বাইরে। এরপর ক্রমান্বয়ে ঢাকায়। চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির আগের কমিটি এদের ‘ভাঙ্গারি’ হিসেবে চিহ্নিত করে নিজেরাই অশ্লীলতা বন্ধের উদ্যোগ নেন। লোক দেখানো অভিযানও চালান। কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে সতর্কতাস্বরূপ চিঠিও দেন। হুমকি দেন তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। ‘ভাঙ্গারি’ নামক ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা অব্যাহত রাখে। বর্তমানে চলচ্চিত্রের ভয়াবহ দুঃসময় এবং নতুন ছবির সঙ্কট। এ সুযোগে ওইসব ভাঙ্গারি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। রমজান আসার আগে থেকেই তারা সক্রিয়ভাবে অভিযুক্ত ছবিগুলো প্রদর্শনের পাশাপাশি দর্শকদের প্রতারিত করার জন্য নতুন পোস্টার করে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেয়ার পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে যে ছবিতে শাকিব খান রয়েছেন, সেই ছবিতে প্রতারণার সুযোগ থাকছে বেশি। নতুন পোস্টার দেখে দর্শকরা বিভ্রান্ত হবেন এবং প্রেক্ষাগৃহে ছুটে গিয়ে প্রতারিত হবেন। ফলে লাভ হবে ভাঙ্গারি পরিবেশক এবং প্রদর্শকদের। ক্ষতি হবে শাকিব খান ও পুরো চলচ্চিত্র শিল্পের। অতএব, চলচ্চিত্র এবং নিজের স্বার্থে শাকিব খানসহ সুস্থ ধারার চলচ্চিত্রের সব শিল্পীকে সোচ্চার হওয়া এবং চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডকে অশ্লীল ছবি প্রদর্শন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য 

চলচ্চিত্রপ্রেমীরা আহ্বান জানিয়েছেন।