বাংলাকালচার রিপোর্ট: ‘অমর একুশের বইমেলা আমাদের দিনবদলের সহায় হোক। জ্ঞানভিত্তিক মুক্তচিন্তার অগ্রসর সমাজ নির্মাণে অনুপ্রাণিত করুক।’ অমর একুশে বইমেলা-২০০৯ উদ্বোধনের সময় এ আশাবাদ ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেছি, আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরণে আমরা যথাযথ পদপে নেব। আমাদের ভাষা, সাহিত্য, সঙ্গীত, শিল্পকলা ও সৃজনশীল সকল কাজ রা ও উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ নেব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি শিতি ও আত্মশক্তিতে বলীয়ান জাতি গড়ে তোলার ল্েয আমরা ২০১০ সালের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করতে চাই। ২০১২ সালের মধ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা চাই। ২০১৪ সালের মধ্যে পূর্ণ স্বারতা চাই। ২০২১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ৪৫ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে চাই। উপজেলা পর্যন্ত ইন্টারনেট সুবিধা চালু করতে চাই। ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে কম্পিউটার শিা বাধ্যতামূলক করতে চাই এবং তথ্য-প্রযুক্তিতে প্রাগ্রসর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমীর গবেষণা কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন।
অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী বলেন, ‘আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে ধর্মান্ধতা ও মৌলবাদের বিনাশ এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিকল্প নেই।’
বাংলা একাডেমীর সভাপতি অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ বলেন, ‘বই মানুষকে বদলে দেয়। জাগিয়ে দেয় অন্ধ ঘুম থেকে। আমি আশা করি, বর্তমান সরকার লেখক ও পাঠক বান্ধব এমন সব নীতি ঘোষণা ও বাস্তবায়ন করবে, যাতে সমগ্র সমাজে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এই বিবেচনায় বাংলা একাডেমীকে আরো বিকশিত করার দায়িত্বও সরকারের।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, ‘বাংলা একাডেমী আইন যুগোপযোগি করার কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৯০ এর দশকে। বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পূর্বের খসড়াটি আরো যুেগাপযোগি করে অধ্যাদেশ আকারে গৃহীত হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা ও নিবেদন, এই অধ্যাদেশটিকে আইনে পরিণত করার ব্যবস্থা যেন বর্তমান সরকারের প থেকে নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠান চলাকালে দর্শক সারিতে বসা ভারতীয় লেখক মহাশ্বেতা দেবীকে মঞ্চে বসিয়ে সম্মানিত করা হয়। মহাশ্বেতা দেবী শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, জীবনেও ভাবিনি অমর একুশের বইমেলায় কখনো উপস্থিত থাকতে পারবো! এ মেলার মতো এত বড় মেলা ভারতের কোথাও হয় কি না, আমার জানা নেই। একজন লেখক হিসেবে এত বড় মেলায় উপস্থিত থাকার মতো গৌরবের বিষয় আর কী হতে পারে!
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি ও তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ ও ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের স্বত্ত্বাধিকারী মহিউদ্দিন আহমেদ।