পৃথিবীর অনেক দেশেই ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু নীতিমালা রয়েছে। এসব নীতিমালায় সেখানে অবস্থানরত মানুষদের এ সম্পর্কে অবহিত করা এবং প্রয়োজনে ক্যামেরার ধারণকৃত চিত্র মানুষকে দেখানোর মতো বিষয়গুলো রয়েছে। তবে বাংলাদেশে এক্ষেত্রে কোন নীতিমালা এখনো নেই।

নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সিসিটিভির ব্যবহার এখন বাড়ছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এসব ক্যামেরা বসানোর ক্ষেত্রে ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টিতে ঠিক কতখানি নজর দেয়া হয়?

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বরছেন, নিরাপত্তার স্বার্থে এসব ক্যামেরা বসানো হলেও এই ক্যামেরার মাধ্যমে যেন কারো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লংঘন না হয়, সে বিষয়টিতে কোন নীতিমালা বাংলাদেশে নেই। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানোর কাজ করে এমন একটি বেসরকারি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান গ্রুপ ফোর এসের একজন কর্মকর্তা সৈয়দ নাহিল আসাজ বলছিলেন, গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ীই তারা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসিয়ে থাকেন। মি. আসাজ বলছিলেন, “কোন গ্রাহক যদি মনে করেন তার নিরাপত্তার জন্য কোথাও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা প্রয়োজন, তাহলে আমরা সেখানেই ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগিয়ে দেবো।” এদিকে যে প্রতিষ্ঠানটিতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় চিত্রধারণ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে সেই পারসোনা বিউটি পার্লারের স্বত্তাধিকারী কানিজ আলমাস খান বলছেন, একটি ভুল বোঝাবুঝির কারণেই এধরণের একটি অভিযোগ এসেছে বলে তিনি মনে করেন। স্পা ব্যাবহারের সময় সিসিটিভি ক্যামেরাটিতে একজন গ্রাহককে দেখা যাচ্ছে, গ্রাহকের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ পাওয়া গেলেও বিউটি পার্লারটিতে এধরনের কোন স্থানে ক্যামেরা নেই বলে মিসেস খান দাবী করেন।তিনি বলেন, “আমরা এমনভাবে ক্যামেরা বসিয়েছি, যাতে এর ফলে কারো বিন্দুমাত্র গোপনীয়তা লংঘন না হয়।”

আইনজীবী সারা হোসেন বলছিলেন, এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আইনে সরাসরিভাবে ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা লংঘনের বিষয়টি নিয়ে কিছু বলা নেই। তবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানোর ক্ষেত্রে নূন্যতম কিছু নিয়মকানুন মেনে চলা উচিত বলে তিনি মনে করেন। ব্যারিস্টার সারা হোসেন মনে করেন, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে সরকারি বিভিন্ন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর গোপনে কারো ভিডিওচিত্র সংগ্রহ করাটাও উদ্বেগের কারণ হতে পারে।