ছোটবেলা থেকে অস্বাভাবিক আচরণের লাগাম টেনে ধরতে হবে। নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বদ স্বভাব। একই সাথে শিশুর এমন আচরণকে উৎসাহিত করতে হবে, যা অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য ও প্রশংসনীয় হয়।

অস্বাভাবিক আচরণের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। এ কারণে শুরুতে বদ আচরণগুলোর মূলোৎপাটন করতে হবে। বড়দের সতর্ক নজর রাখতে হবে, অভিজ্ঞতার আলোয় শিশু নিজেকে পরে সংশোধন করে নেবে, এমন আশায় বসে না থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

একটি কৌশল হচ্ছে, অস্বাভাবিক আচরণের ক্ষতিকর দিক তার সামনে ব্যাখ্যা করা, কেন সে অন্যের কাছে অপ্রিয় হয়ে যাচ্ছে ইত্যাদি বিশদ উপস্থাপন করতে হবে। যদি পূনরায় বদ আচরণ করে, দু-তিন দিনের জন্য অন্যদের সাথে খেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত রাখতে হবে। ঘোষণাটি জোরালোভাবে বলতে হবে শিশুকে। এ ধরনের দু-একটি এপিসোড যথার্থ কার্যকর করা সম্ভব হলে শিশুর ভেতরগত বোধ সৃষ্টি হবে, নিজের অস্বাভাবিক আচরণগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে উদ্বুদ্ধ হবে, সমর্থও হবে।