দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নতুন কারিকুলামে ১৫১টি পাঠ্যপুস্তক আসছে। এ নতুন কারিকুলামে বানানরীতি, মূল্যায়ন কৌশল, সৃজনশীল প্রশ্ন সংযোজন, কর্মভিত্তিক পাঠ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পরিবর্তন, নৈতিকতা-মূল্যবোধ সংযোজন প্রযুক্তিসহ নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন কারিকুলাম বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
২০১৩ সালে প্রকাশিতব্য নতুন কারিকুলামের বইয়ে যেসব পরিবর্তন এসেছে সে সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে করণীয় ঠিক করতে গতকাল সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় শিক্ষা সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান প্রফেসর মোস্তফা কামালউদ্দিন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ ড. সিদ্দিকুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় নতুন কারিকুলাম বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মশালা, সেমিনার, টকশো, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়, ওয়েবসাইটে সংযুক্তকরণসহ নানা উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কারিকুলামে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত সামাজিক বিজ্ঞানের পরিবর্তে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি, ধর্মের সঙ্গে নৈতিকতা শিক্ষা, কর্মমুখী নতুন বই যুক্ত হচ্ছে। সাধারণ শিক্ষা ধারায় কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা, ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, চারু ও কারুকলা এবং শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও খেলাধুলার ৪টি বাধ্যতামূলক বিষয় হিসেবে যুক্ত হবে। মাদ্রাসা, ইংরেজি মাধ্যম, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক ধারায় তাদের নিজস্ব বিষয় যুক্ত হবে।
নতুন কারিকুলামে প্রতিটি অধ্যায়ের প্রথমে ওই অধ্যায়ে শিক্ষার্থীরা কি শিখতে পারবে তা উল্লেখ করা থাকবে। প্রমিত বাংলা বানান চালু করার লক্ষ্যে বানানরীতিতে বাংলা একাডেমীর রীতি মানা হবে।
৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণীর ৪৪টি (এর মধ্যে ৭টিতে চলতি বছরে নতুন কারিকুলামে চালু হয়েছে) এবং ৯ম-১০ম শ্রেণীতে মোট ৭৪টি বইয়ের মধ্যে ৬৭টি বই নতুন কারিকুলামে তৈরি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে নতুন কারিকুলামে প্রাথমিক স্তরে ৩৩টি বই প্রকাশ করা হচ্ছে।