যুগের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দীর্ঘ ১৭ বছর পর পরিবর্তন হচ্ছে জাতীয় শিক্ষাক্রম।পাল্টে যাচ্ছে সিলেবাস ও বই। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন করা হচ্ছে পাঠ্যক্রম।আগামী জানুয়ারিতে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত নতুন পাঠ্যক্রমে আসছে তিনটি বিষয়ের সাতটি বই।নতুন বই লেখার কাজ শেষ। আগামী ১ জানুয়ারিই শিক্ষার্থীরা হাতে পাবে নতুন শিক্ষাক্রমের বাংলা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) এবং বর্তমানের সমাজ বিজ্ঞানের পরিবর্তে পাবে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়।ষষ্ঠ শ্রেণীর জন্য হবে ৫০ নম্বরের নতুন বিষয় আইসিটি। এৰেত্রে ২০০ নম্বরের বাংলা বিষয় কমিয়ে ১৫০ নম্বরে নির্ধারণ করা হবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত সমাজবিজ্ঞানের পরিবর্তে হবে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়।
নতুন শিৰাক্রম ও বইয়ের লেখকদের অভিমত, প্রচলিত ‘মুখস্থ বিদ্যার’ পরিবর্তে লেখা, পড়া, দেখা, শোনা ও বলাকে সমান গুরুত্ব দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো শিক্ষাক্রম। যেখানে শিক্ষার্থীরা শ্রেণী কৰেই মহান ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালী ইতিহাসের প্রামাণ্যচিত্র দেখতে ও জানতে পারবে। বইয়ের বোঝা কমানো এবং পাঠদানকে আনন্দদায়ক করার বিশেষ লক্ষ নিয়ে প্রণয়ন করা হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। পাঠ্যক্রমের এই পরিবর্তন ও আধুনিকায়ন সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী পাঠ্যবই রচনা করে আগামী বছরই ছাত্রছাত্রীদের হাতে পেঁৗছানো হবে। নতুন শিৰানীতির আলোকে পর্যায়ক্রমে নতুন পাঠ্যক্রম হবে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যনত্ম। পরিবর্তনের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ১৯৯৫ সালে প্রণীত চলমান পাঠ্যক্রম বহু আগেই তার প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলেছে। আর দেরি করা যাবে না। আমাদের শিৰার লৰ্য হবে জ্ঞান ও দক্ষতাসম্পন্ন পরিপূর্ণ মানুষ তৈরি করা। জানা গেছে, আগামী ২০১৩ সালে ‘পরিবেশ পরিচিত’ ও ‘কর্মমুখী শিক্ষা’ নামে আরও দুটি নতুন বিষয় চালু করা হবে। এর আগে ১৯৭৬ এবং ১৯৯৫ সালে দু’বার শিৰাক্রম পরিমার্জন করা হয়েছিল। মাধ্যমিকে বর্তমানে যে পাঠ্যক্রম অনুযায়ী পাঠ্যবই চলছে তা ১৯৯৫ সালে প্রণীত। সরকার ইতোমধ্যে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যক্রম পরিবর্তনের সিদ্ধানত্ম নিয়েছে। মূলত একে আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করার অংশ হিসেবেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।