রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের(রাবি) ফিরোজ আলম নামে এক শিক্ষার্থীকে রুমে আটকিয়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা রাতভর নির্যাতন করেছে। আহত ওই শিক্ষার্থীকেশুক ্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হলে পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেলকলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাহয়েছে। ফিরোজ আলম গণিত ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মাদার বখশ হলের ৪২০ নম্বর রুমের আবাসিক ছাত্র। আহত ফিরোজ আলম বলেন, “দাড়ি রাখার কারণে কয়েক দিন আগে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাকে শিবিরকর্মী বলে দাড়িকাটতে বলে। কিন্তু আমি দাড়ি না কাটলে ছাত্রলীগ কর্মীরা বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ৩০৮ নম্বর রুমে আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তারা আমাকে হলের ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে ছাত্রলীগ কর্মী জুবায়ের ইবনে তানিম, দেলাওয়ার হোসেন ডিল্স, মণির, শেখ রাসেল এবং ফিরোজের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন রড, হকিস্টিক এবং লাঠি-শোঠা দিয়ে বেধরক মারধর করে।” তিনি আরও জানান, দীর্ঘ তিন ঘণ্টা রুমে আটকিয়ে নিযার্তনের পর ভোর ৬টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়। এসময়রডের আঘাতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। শুক্রবার সকাল ১০টারদিকে তাকে হল ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় তারা। শুক্রবার সকালে আহত অবস্থায় ফিরোজকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবণতি হলে রাজশাহী মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়। এদিকে এ ঘটনার পর মাদার বখ্শ হলের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে রাত ৩টা থেকে সাড়ে৫টা পর্যন্ত রাতভর হলের বিভিন্ন রুমে তল্লাশি চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের রুম খুলতে দেড়ি হলে চড়-থাপ্পর মারারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এখন চিন্তা করুন আমরা কোনদেশে আছি…? এখনতো দাড়ি রাখা পাপ হবে মনে হয়… অথচ দাড়ি রাখা জরুরী.. আমাদের নবিজি (সাঃ) উম্মতদের দাড়ি রাখার আদেশদিয়েছেন… আর কত দেখব নরপশুদের তান্ডব? এর কি কোনো প্রতিকার নেই?