দেশের ১০টি শিক্ষা বোর্ডে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৪৪১ জন শিক্ষার্থী। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ লাখ ২৯ হাজার ৬১৯ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৩ লাখ ৩০ হাজার ১২ জন এবং ছাত্রী ২ লাখ ৯৯ হাজার ৬০৭ জন।মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার পরীক্ষায় অংশ নেবে ৭৬ হাজার ৯৫৭ জন। এ বোর্ডে ছাত্র সংখ্যা ৪৪ হাজার ৯৭৩ জন এবং ছাত্রী ৩১ হাজার ৯৮৪ জন। কারিগরী বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেবে ৬৮ হাজার ৯৬১ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেবে ৪৬ হাজার ৭৭৯ জন ছাত্র এবং ২২ হাজার ১৮২ জন ছাত্রী।এ ছাড়া ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ডিআইবিএস-এ (ডিপেস্নামা ইন বিজনেস স্টাডিজ) ৩ হাজার ৯০৪ জন পরীক্ষা দেবে। ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে সবচেয়ে বেশি দুই লাখ ৯ হাজার ১১৭ জন। সিলেট বোর্ডে সবচেয়ে কম ৩০ হাজার ৯৬৫ জন। রাজশাহীতে ৭৯ হাজার ১৩৫, কুমিলস্নায় ৬৩ হাজার ৩৯, যশোরে ৮৭ হাজার ৮৪০, চট্টগ্রামে ৪৮ হাজার ৭৬, বরিশালে ৩৬ হাজার ৩৪২ জন এবং দিনাজপুর শিৰা বোর্ডে ৭৫ হাজার ১০৬ পরীৰার্থী পরীৰায় অংশ নিচ্ছে। এবার ৫৭ দিন ধরে পরীৰা গ্রহণ করা হবে। জানা গেছে, একাদশ শ্রেণীতে নিবন্ধন করেও এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে না এক লাখ ৩৪ হাজার ২৪২জন। অর্থাৎ ১৮ দশমিক ১৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে না। গতবছর এই হার ছিল ১৮ দশমিক ২৪ শতাংশ। ঢাকা শিৰা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন পরীৰার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন উলেস্নখ করে জানিয়েছেন, সারাদেশের সকল কেন্দ্রে প্রস্তুতি শেষ। পরীৰা আয়োজনে তাঁরা শিৰক, শিৰার্থী, অভিভাবকসহ সর্বসত্মরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন। এদিকে সময়সূচীতে পরীৰার মাঝে প্রয়োজনীয় বিরতি দেয়া হয়নি বলে গত কয়েক বছর ধরে শিৰার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে যে অসনত্মোষ ছিল এবার তা কেটে যাবে বলেই মনে করছেন শিৰা বোর্ডের কর্মকর্তারা। এবার বিজ্ঞান, বাণিজ্য, মানবিক প্রতিটি বিভাগের পরীৰার্থীরাই গুরম্নত্বপূর্ণ সকল পরীৰার মাঝে ছুটি পাচ্ছে। এজন্য প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময়ব্যাপী পরীৰা চলবে। আজ থেকে লিখিত পরীৰা শুরম্ন হবে ৮টি সাধারণ একটি মাদ্রাসা বোর্ডের আলিম ও একটি কারিগরি বোর্ডের এইচএসসি ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা পরীৰা। সাধারণ ৮ বোর্ডের এইচএসসির লিখিত পরীৰা শেষ হবে ৩১ মে। মাদ্রাসা বোর্ডের আলিমের লিখিত পরীৰা শেষ হবে ৮মে এবং কারিগরি শিৰা বোর্ডের এইচএসসি ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা পরীৰা শেষ হবে ৪মে। এরপর শুরম্ন হবে সকল বোর্ডের ব্যবহারিক পরীৰা। পরীৰার এবারের সময়সূচীকে শিৰার্থীদের জন্য অত্যনত্ম সহনশীল হবে বলে মনে করেন ঢাকা শিৰা বোর্ডের পরীৰা নিয়ন্ত্রক সৈয়দ সাদিক জাহিদুল ইসলাম। এবার ৫৭ দিন ধরে পরীৰা গ্রহণের ইতিবাচক দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, এবার পরীৰার কর্মদিবস (যে দিনগুলোতে পরীৰা চলবে) ২৪ দিন। কিন্তু পরীৰাগুলোর মাঝে বিরতি দেয়ায় প্রায় দুই মাস পরীৰা চলবে। এর ফলে পরীৰার মাঝে প্রয়োজনীয় বিরতি দেয়া হয়নি বলে গত কয়েক বছর ধরে শিৰার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে যে অসনত্মোষ ছিল এবার তা কেটে যাবে। বিজ্ঞান, বাণিজ্য, মানবিক প্রতিটি বিভাগের পরীৰার্থীরাই গুরম্নত্বপূর্ণ সকল পরীৰার মাঝে প্রয়োজনীয় ছুটি পাচ্ছে।