বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের অনার্স ভর্তি ফরমের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারসহ ২ দফা দাবিতে আজ রবিবার প্রশাসন ভবন অবরোধ করে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের নেতাকর্মীরা। এ সময় প্রশাসন ভবনের মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে দিলে শতাধিক কর্মকর্তাবৃন্দ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এদিকে প্রশাসন আন্দোলনরত শিার্থীদের দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন স্থগিত করে অবরোধ তুলে নেয়।

জানা যায়, এবছর অনার্স ভর্তি ফরমের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার ও পর পর দুই সেশনের শিার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগের দাবিতে রবিবার প্রশাসন ভবন অবরোধ করে। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন এবং সাধারণ শিক্ষঅর্থীরা প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ব্যানারে আন্দোলনে নামে।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে  সকাল ৯ টায় প্রশাসন ভবন অবরোধ করে ভবনের মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে অবস্থান ধর্মঘট করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষক ও শিক্ষকদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা ও ধ্বস্তাধ্বস্তি হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, এসময় আন্দোলনের কারণে প্রশাসনিক কাজকর্মে স্থবিরতা দেখা দেয়। অবস্থান ধর্মঘটে বাকৃবি ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সেঁজুতি চৌধুরী, বাকৃবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আশরাফুল আলম বাপ্পীসহ অন্যান্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন।
এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদেও দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন স্থগিত করে প্রশাসন ভবনের তালা খুলে দেয়। ক্যাম্পাসে সকল প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রমাসন ভবন অবরোধকালে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষদের ক্লাস অনুষ্ঠিত হয় নি।

উল্লেখ্য, আজ রবিবার থেকে মোবাইল ফোনের মাধমে এ বছরের অনার্স ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে।
ছাত্রফ্রন্ট বাকৃবি শাখার সভাপতি সেঁজুতি চৌধুরী বলেন, প্রশাসন আমাদের দাবি-দাওয়া মেনে নিয়ে ভর্তি ফরমের বর্ধিত মূল্য কমানো হবে বলে জানিয়েছে। এছাড়া আমাদের অন্যান্য দাবি মেনে নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন। তবে আমরা এর জন্য প্রশাসনকে ২ দিনের সময় দিয়েছি এবং এসময় প্রশাসন ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখবে। বর্ধিত ফিসহ সকল দাবি মেনে না নিলে আবারো লাগাতার আন্দোলন করা হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মো. সুলতান উদ্দিন ভূঞা বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার বিষয়ে আন্তরিক। আমরা আলোচনা ও পর্যালোচনার মাধমে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেব।