বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আনা বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে কর্তৃপক্ষের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে আবারও আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি।

গতকাল মঙ্গলবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুয়েট কর্তৃপক্ষ বলেছে, শিক্ষক সমিতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য আবুল কাসেমকে আহ্বায়ক করে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি এক মাস কাজ করার পর বুয়েটের ৪৬৪তম সিন্ডিকেট সভায় প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থাগুলো বিধির কোনো ব্যত্যয় করেনি এবং বিভিন্ন অভিযোগ যথার্থ নয় বলে মতামত দিয়েছেন তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকেলে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা বসে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কর্তৃপক্ষ নিজেদের পছন্দমতো ব্যক্তিদের দিয়ে তদন্ত কমিটি করেছিল। এখানে নিরপেক্ষ তদন্ত কখনোই সম্ভব নয়। তাই শিক্ষক সমিতি প্রথমেই তা প্রত্যাখ্যান করেছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আশরাফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক সমিতি আগের দাবিতেই অনড় রয়েছে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী শনিবার থেকে সপ্তাহব্যাপী প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকেরা। এ সময় বেলা ১১টা থেকে একটা পর্যন্ত শিক্ষকেরা কোনো ক্লাস নেবেন না। এর পরও দাবি মেনে না নিলে পরের সপ্তাহ থেকে কর্মবিরতিতে যেতে পারেন তাঁরা।

বুয়েটের বর্তমান উপাচার্য নজরুল ইসলাম ও সহ-উপাচার্য হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘন করে ভূতাপেক্ষ নিয়োগ দেওয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদ বুয়েট শাখার সভাপতি ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার কামাল উদ্দীনকে রেজিস্ট্রার করার উদ্যোগ, শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশাসনের বিভিন্ন পদে দলীয়করণসহ ১৬টি অভিযোগ এনে গত এপ্রিল মাসে আন্দোলন করে শিক্ষক সমিতি। পরে সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ক্লাসে ফিরে যান শিক্ষকেরা।