সরকার স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্পমূল্যে সব বিষয়ের পাঠ্যবই সংবলিত ল্যাপটপ দেয়ার পরিকল্পনা করায় স্কুল পাঠ্য বিশাল বইয়ের বোঝা বহন শিক্ষার্থীদের জন্য আর বোঝা নয় বরং আনন্দের হয়ে ওঠবে। গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দেশে তৈরি ল্যাপটপ ‘দোয়েল’-এর বিতরণ ও বাজারজাতকরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অত্যন্ত হালকা এ নোটবুক (ল্যাপটপ) সহজেই শিশু শিক্ষার্থীদের ব্যাগে রাখা যাবে। এতে শিক্ষার্থীরা বইয়ের ভারী বোঝা বহন থেকে মুক্তি পাবে, যা তাদের শিক্ষা গ্রহণকে আনন্দময় করে তুলবে। তিনি জানান, জনগণের অর্থের কার্যকর ও সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধা ও বিধবা ভাতাসহ সরকার পরিচালিত সব কর্মকা-ই ক্রমান্বয়ে ডিজিটালাইজড করা হবে। শেখ হাসিনা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের প্রতি তাদের লাইব্রেরিকে ই-লাইব্রেরিতে রূপান্তরিত করতে আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে মুখ্য ভূমিকা পালনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ নির্বাচনী অঙ্গীকারের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দোয়েলের বিপণন ও বাজারজাতকরণ ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে ‘দিন বদলের সনদ’ বাস্তবায়নের পথে এক বড় ধরনের পদক্ষেপ। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সমপ্রসারণের ফলে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়ে যাচ্ছে। এজন্য আমাদের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পাশাপাশি বিদ্যুৎ ব্যবহারে কৃচ্ছতা সাধন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সাধারণ মানুষের কাছে স্বল্পমূল্যে মোবাইল ফোন পেঁৗছে দিতে একটি বেসরকারি কোম্পানির একচেটিয়া ব্যবসার অবসান ঘটানো হয়েছে। তিনি গত তিন বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নে তার সরকারের নেয়া ব্যবস্থাগুলোর উল্লেখ করে বলেন, আমরা ২০২১ সালের মধ্যে প্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ এক বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকারাবদ্ধ। দেশের সব অঞ্চলকে ই-গভর্নেন্সের আওতায় আনা হবে এবং ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খুলনায় রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশ ক্যাবল ইন্ডাস্ট্রিতে অপটিক্যাল ফাইবার তৈরির পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যা দ্রুত গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সার্ভিস পেতে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সাবমেরিন ক্যাবলের বিদ্যমান ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি সাড়ে ৭ গিগাবাইট থেকে ১৪০ গিগাবাইটে উন্নীত করা এবং ব্যান্ডউইথের প্রতি গিগাবাইটের ফি ২৭ হাজার টাকা থেকে হ্রাস করে ১০ হাজার টাকা নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে।