নিউমোনিয়ায় দেশে প্রতি ঘণ্টায় আনুমানিক ছয়জন শিশু মারা যায়। প্রতি বছর মারা যায় ৫০ হাজার শিশু। শুক্রবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

 
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেন, “নিউমোনিয়া প্রতিরোধে শুধু ভ্যাকসিনের ওপর নির্ভর না করে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি এন্টিবায়েটিক ব্যবহার করতে হবে।” তিনি বলেন, “ভ্যাকসিন না থাকলেও নিউমোনিয়া প্রতিরোধে যে এন্টিভাইটিক দরকার তা বাংলাদেশে পর‌পর্যাপ্ত আছে। এসবের দাম তা অত্যন্ত কম। এছাড়া এইডস নিয়ে লাফালাফি করে কোটি কোটি টাকা খরচ করা যায়। নিউমোনিয়ার জন্য অতো টাকা খরচ করার অবস্থা নেই। তাই সচেতনতা সৃষ্টি করে এর প্রতিরোধ করতে হবে।”
 
তিনি বলেন, “এদেশে নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন উৎপাদন ছিল না। নিমোকক্কাল ভ্যাকসিন বিদেশ থেকে আনতে হয়। তা সংরক্ষণে কোল্ডস্টোরের অভাব নেই, স্বল্পতা রয়েছে। বিভাগীয় পর্যায়ে কোল্ডস্টোরের ক্ষমতা বাড়াতে হবে।”
 
ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেন, “শিশু মৃত্যুর হার দুই-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার পেয়েছেন। এখনো দেশে প্রতিবছর সাড়ে ১২ হাজার থেকে ১৩ হাজার মাতৃমৃত্যু হয়। তাদেরও চিকিৎসা দেয়ার অবস্থা রয়েছে। তবে এদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। একই অবস্থা নিউমোনিয়া আক্রান্তের ক্ষেত্রে।”
 
শিশু মৃত্যুর কারণগুলো নিয়ে কাজ করতে একটি সংগঠন তৈরি করা দরকার বলে মত দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
 
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশে নিউমোনিয়ায় প্রতি ঘণ্টায় আনুমানিক ছয়জন শিশু মারা যায়। প্রতি বছর মারা যায় ৫০ হাজার শিশু।” স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইকবাল আরসালান বলেন, “মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জন করতে হলে নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করতে হবে।”
 
ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মনজুর হোসেন বলেন, “নিউমোনিয়া প্রতিরোধে সচেতনতা সবচেয়ে বেশি জরুরি। একটু ভুলের জন্য শিশুর মৃত্যু হতে পারে। এছাড়া শিশুকে ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ খাওয়ানো, শিশূদেরকে দূষণমুক্ত বায়ুতে রাখা এবং সময়মতো টিকা দিতে হবে।”