বিশ্বের জনসংখ্যা অক্টোবরের শেষ নাগাদ সাতশ’ কোটি হবে। ৫০ বছর আগে এ সংখ্যা ছিল মাত্র তিনশ’ কোটি। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ডবিস্নউএফপিএ) এ তথ্য জানিয়েছে। ডবিস্নউএফপিএ বলেছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২১০০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা এক হাজার কোটিতে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশ্ব জনসংখ্যা সাতশ’ কোটিতে পেঁৗছানোর দিনক্ষণ স্পষ্ট করা না হলেও ৩১ অক্টোবরকে প্রতীকী দিন ঘোষণা করেছে ডবিস্নউএফপিএ। এ দিনে বিভিন্ন কর্মসূচিরও আয়োজন করতে যাচ্ছে সংস্থাটি। ১৮০৪ সালের দিকে বিশ্বের জনসংখ্যা একশ’ কোটিতে পেঁৗছায়। তার আগে পর্যন্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল বেশ কম। এরপর জনসংখ্যা দুইশ’ কোটিতে পেঁৗছাতে সময় নেয় একশ’ ২৫ বছর। এ সময় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বাড়তে থাকলেও খুব বেশি নয়। কিন্তু তারপর থেকেই জনসংখ্যা বাড়তে থাকে খুব বেশি হারে। ১৮০০ সালের পর গত দুই শতকে বিশ্বের জনসংখ্যা সাত গুণ বেড়ে যায়।
১৯৬০ সালে বিশ্বে যে জনসংখ্যা ছিল এখন তার দ্বিগুণ হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতেই সবচেয়ে বেশি মানুষ বেড়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল ১০টি দেশের কাতারে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও জাপান রয়েছে।
অসম জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে জন্ম-মৃত্যু হারের ব্যবধানের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, উচ্চ জন্ম ও মৃত্যুহারের সমাজ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতি লাভের পর কম জন্ম ও মৃত্যুহারের সমাজে পরিণত হয়। উন্নত চিকিৎসার কারণে মৃত্যুহার কমে গেলেও উচ্চ জন্মহার অব্যাহত থাকায় জনসংখ্যা বাড়তে থাকে। তবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সহজলভ্যতার কারণে জন্মহারও কমে আসে। জাতিসংঘের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উন্নয়নশীল দেশেই সর্বোচ্চ জনসংখ্যা বৃদ্ধি হবে। ২০৫০ সালে বিশ্বের নতুন জনসংখ্যার ৯৭ শতাংশই হবে উন্নয়নশীল দেশের যা বর্তমানে ৩৮ শতাংশে আছে।
অন্যদিকে ২০৫০ সালে বিশ্বে মোট জনসংখ্যার ৮৬ শতাংশের জীবনমান উন্নত হবে। ১৯৫০ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬৮ শতাংশ এবং বর্তমানে আছে ৮২ শতাংশ।