নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুক্ষ্ম কারচুপি ঠেকানো গেলেও নির্বাচনে স্থূল কারচুপি রোধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, রাজনীতিকরা আমলাদের এমন রাজনীতিকীকরণ করেছেন যে, তাদের দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি আরো বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কোনো আইনি বিষয় নয়। এটি একটি সামাজিক চুক্তি। এই চুক্তিকে একতরফাভাবে নস্যাৎ করার কোনো উপায় নেই। আইনের দোহাই দিয়ে কেউ একা এই পদ্ধতি ভাঙতে পারে না।
ড. আকবর আলি খান বলেন, সংবিধানে অনেক ক্ষেত্রে সাময়িক বিচ্যুতি স্বীকার করে নিতে হয়। যেমন চাকরির ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতিও স্থায়ী ব্যবস্থা নয়_ এটাও বিচ্যুতি। এগুলো নির্দিষ্ট মেয়াদে থাকে। তেমনি স্থায়ীভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারও থাকতে পারে না। এটাও নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত থাকবে। ড. আকবর আলি খান প্রশ্ন রেখে বলেন, আদালত আরও দুই টার্ম তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখার কথা বলেছে- কিন্তু তার আগেই কেন এটা তুলে দেয়া হচ্ছে? তিনি বলেন, সরকারেও ১০ শতাংশ অনির্বাচিত মন্ত্রী আছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি অবৈধ হয়, তাহলে এটি হালাল হয় কিভাবে? তিনি বলেন, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার অনেক খারাপ কাজ করলেও নির্বাচন ভাল করেছে। তারা যা খারাপ করেছে জরুরি আইনের জন্যই করেছে। তাই জরুরি আইনের কিছু ধারা সংশোধন করা উচিত। দোষটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার নয়, জরুরি আইনের।
আকবর আলি বলেন, সংবিধানে অনেক ক্ষেত্রে সাময়িক বিচ্যুতি স্বীকার করে নিতে হয়। যেমন চাকরির ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতিও স্থায়ী ব্যবস্থা নয়। এটাও বিচ্যুতি। এগুলো নির্দিষ্ট মেয়াদে থাকে। তেমনি স্থায়ীভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারও থাকতে পারে না। এটাও নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত থাকবে।