ঈদ উপলক্ষে আবারও সরকারের বাজার মনিটরিং শুরু হচ্ছে। খুচরা ও পাইকারি বাজারের সঙ্গে টিসিবির ডিলার ও পরিবেশকদের মনিটরিং করা হবে। পণ্য উত্তোলন করে সঠিকভাবে বিক্রি করা হচ্ছে কি না তাও দেখা হবে।

 প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বাজার মনিটরিং শুরু করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়। সূত্র জানায়, বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বছর মনিটরিং চালানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রাখার পাশাপাশি বাজারে পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখার বিষয়ে নজর দেয়া, পণ্য সরবরাহের জন্য রেলে আরও মালবাহী বগি সংযুক্ত করা এবং ঢাকার বাইরে থেকে আনা পণ্য ক্রয় ও বিক্রয়ের জন্য কমলাপুরের আশপাশে একটি হাট গড়ে তোলার সম্ভাব্যতা পরীক্ষার বিষয়টি যাচাই করে দেখার নির্দেশ দেয়া হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান জানান, ব্যবসায়ী, বাজার ও আমদানি পর্যায়ে মনিটরিং কার্যক্রম আবারও শুরু হয়েছে। বিশেষ করে দুর্গাপূজা ও কোরবানি ঈদ উপলক্ষে মনিটরিং আরও জোরদার করা হয়েছে। প্রতিদিন দু’টি ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন বাজারে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশে নিত্যপণ্যের দাম পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। টিসিবি থেকে প্রতিদিন ১০টি বাজার থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে তারাও মনিটরিং করছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর থেকেও বাজার পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম চলছে। মন্ত্রী আরও জানান, আসন্ন ঈদে ভোজ্যতেল ও চিনিসহ নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় থাকবে। পাইপলাইনে এবং দেশের ভেতর পর্যাপ্ত চিনি ও ভোজ্যতেল মজুদ আছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেনের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে ভারত পিয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কারণে

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতকে ধন্যবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ওই সভায় বলা হয়, পূজা ও ঈদ উপলক্ষে একশ্রেণীর ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে। এই প্রবণতা রোধ করতে বাজার মনিটরিং আরও জোরদার ও পুরোদমে মনিটরিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।