আগামী ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোনো জোটভুক্ত না হয়ে আবারও এককভাবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

তিনি বলেন, দুই দলের  দলাদলিতে পিষ্ট হয়ে জনগণ আগামীতে জাতীয় পার্টিকেই ভোট দেবে। জাতীয় পার্টি ছাড়া বাকি সরকারের আমলে বহু সম্পদ লুটপাট করা হয়েছে এবং তার দল ক্ষমতায় গেলে বিগত ২২ বছরে দেশের সম্পদ লুটের হিসাব নেওয়া হবে বলেও  ঘোষণা দেন তিনি।

গতকাল শনিবার বনানীতে জাপা চেয়ারম্যান কার্যালয়ে দলের সহযোগী সংগঠন হিসেবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পার্টির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা হয়েছিল। ওই তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ৯০ হাজার। এখন সেই তালিকার সঙ্গে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করে ১ লাখ ৬০ হাজার করা হয়েছে। এর মধ্যে বাকি ৭০ হাজারই ভুয়া এবং জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে ওই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ বাতিল করা হবে বলে জানান তিনি।

দেশের জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী জাতীয় পার্টি আগামীতে এককভাবে ক্ষমতায় যাবে বলেও এ সময় তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একমাত্র মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল নয়। আমিও মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানের মতো ভালোবাসি। যে কারণে জাপা ক্ষমতায় থাকার সময়ে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট, ২২টি শিল্পাপ্রতিষ্ঠানকে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে বরাদ্দ প্রদান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় অফিস এবং জেলা অফিসের জন্য জমি বরাদ্দ দিয়েছিলাম।
এরশাদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের আমি জাতীয় সম্পদ মনে করে তাদের বিভাজন চাইনি বলে এতদিন মুক্তিযোদ্ধা পার্টি গঠন করিনি। বিভিন্ন দাবির কারণে আজকে মুক্তিযোদ্ধা পার্টি গঠন করা হল। তিনি বলেন, তোমরা (মুক্তিযোদ্ধা) সঙ্গে থাকলে আমি কমান্ডার হিসেবে দেশকে পরিবর্তনের যুদ্ধে নামতে চাই। এই যুদ্ধ হবে অন্ধকারে নিমজ্জিত দেশকে মুক্ত করার যুদ্ধ।

দেশে আজ দুভাগে বিভক্ত হয়ে আছে। এই বিভক্ত থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য জাতীয় পার্টি জনগণের তৃতীয় শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। জনগণের মুক্তিই হবে জাতীয় পার্টির মূল লক্ষ্য। জাতীয় পার্টি আর কোনো দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবে না বলেও মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।