আজ থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে লাগাতার ডাক ধর্মঘট। বাংলাদেশ পোস্টাল ই.ডি কর্মচারী ইউনিয়ন নয় দফা দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।

ধর্মঘটের ফলে দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ের সাড়ে আট হাজার  ডাকঘর অনির্র্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে পড়বে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম.এ হাকিম বলেন, ন্যায্য দাবি আদায়ে ইতিমধ্যে কর্মবিরতিসহ কর্মসূচি পালন করলেও সংশ্লিষ্টরা তা আমলে নেননি। বরং কর্মসূচি পালনকালে গত ঈদের আগে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, যশোর এবং সিরাজগঞ্জ জেলার প্রায় ২০০০ কর্মচারীর ১০ দিনের সম্মানী ভাতা কেটে নেয়া হয়। এসবের প্রতিবাদে এবং দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ধর্মঘটে যাওয়া হয়েছে।

নেতারা দাবি করেন, সরকার থেকে কর্মচারীদের সম্মানী কাটা হয়নি। ওই ৫টি জেলার ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল আন্দোলনকারীদের শাস্তি দিতেই এটি করেন। এদিকে ধর্মঘটের পাশাপাশি আজ সারাদেশের জেলা ডাকঘর চত্বরে সমাবেশ করা হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ২৪ হাজার এক্সট্রা ডিপার্টমেন্টাল-পোস্টাল ই.ডি কর্মচারী। তাদের ৯ দফা দাবির মধ্যে আছে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, দুই মাসের সম্মানী ভাতার সমপরিমাণ উৎসব ভাতা প্রদান, চার ঘণ্টার পরিবর্তে ছয় ঘণ্টার কাজের স্বীকৃতি, বিভাগীয় কর্মচারীদের মতো বছরে ২০ দিন সবেতনে ছুটি, রেশন কার্ড চালু, প্রাপ্ত সম্মানী ভাতার অতিরিক্ত ৫০ ভাগ সম্মানী এবং চাকরির বিধি প্রদান করা। বেতন কাঠামোর মধ্যে আছে ই.ডি সাব-পোস্ট মাস্টারের ভাতা ১,৩২০ টাকার জায়গায় ৪৫০০ টাকা, ব্রাঞ্চ পোস্ট মাস্টারের ১,০১০ টাকার জায়গায় ৪,১০০ টাকা, চিঠি বিলিকারীর ৯৯০ টাকার জায়গায় ৩,৮০০ টাকা, ডাক বহনকারীর ৯৫০ টাকার জায়গায় ৩৫০০ টাকা এবং চৌকিদার ও ঝাড়ুদারের বেতন ৯১০ টাকা থেকে ৩,২০০ টাকা ভাতা করা।

সংগঠনটি এই লক্ষ্যে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছে।