ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে (ডিসিসি) দু’খন্ড করার পক্ষে যুক্তি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণকে সেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই সংসদে এ বিষয়ে বিল তোলা হয়েছে। আজ রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং ৩৭ জন কাউন্সিলরের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জনসংখ্যা বাড়ছে। ঠিকমতো জনসেবা দেওয়া যাচ্ছিল না। তাই মূল ঢাকা ও বর্ধিত অংশকে নিয়ে দুটি পৃথক সিটি করপোরেশন করার প্রস্তাব-সংবলিত বিল সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী যুক্তি দেখান, আসলে বাংলা একাডেমী ও ঢাকা গেট পর্যন্তই ঢাকা শহর ছিল। সেটা বাড়তে বাড়তে এখন উত্তরা পর্যন্ত চলে গেছে। উত্তরার মানুষও বলেন, ঢাকায় যাচ্ছি। আর গুলশানতো গ্রাম ছিল। প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে দুই ভাগ করতে গত ২৩ নভেম্বর জাতীয় সংসদে একটি বিল তোলা হয়। এর আগে এ প্রস্তাবের পক্ষে সম্মতি দেয় মন্ত্রিপরিষদ। ঢাকার ৯২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৬টি নিয়ে দক্ষিণে একটি এবং ৩৬টি ওয়ার্ড নিয়ে উত্তরে আরেকটি সিটি কর্পোরেশন গঠনের কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। বিলটি সংসদে পাস হলে বর্তমান ঢাকা সিটি কর্পোরেশন বিলুপ্ত হবে এবং পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সরকার দুই সিটি কর্পোরেশনের জন্য দুজন প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে দ্বিখণ্ডিত না করে অবিলম্বে নির্বাচন দিন। আমি পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হব না। খোকার দল বিএনপি বলে আসছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিজেদের লোক বসাতে চায় বলেই দুটি সিটি কর্পোরেশন করছে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শপথ অনুষ্ঠানে বলেন, আইন সংশোধনের ফলে পুরনো ঢাকা থাকবে একটি সিটি কর্পোরেশনের অধীনে। আর নতুন ঢাকার দেখভাল করবে অন্য করপোরেশন।