বাংলাদেশে রিয়েল এস্টেট সেক্টরে অগ্রযাত্রায় হাতেগোনা যে ক’টি প্রতিষ্ঠান ভূমিকা রেখে আসছে তার মধ্যে বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াস লিমিটেড (বিটিআই) অন্যতম। হাঁটি হাঁটি পা পা করে প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে পদার্পণ করেছে ২৮ বছরে। এই দীর্ঘ সময়ে তিন শতাধিক আবাসন প্রকল্প সম্পন্ন করে তিন হাজারের বেশি ফ্ল্যাট গ্রাহক পর্যায়ে হস্তান্তর করতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
যুগের সঙ্গে আপস করে বসতি ও চাহিদা পরিবর্তন করা মানুষের ধর্ম। এমন ধ্যানধারণাকে প্রাধান্য দিয়ে আমাদের দেশে অনেক রিয়েল এস্টেট কোম্পানি গড়ে উঠেছে। এসব কোম্পানির মধ্যে বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াস লিমিটেড (বিটিআই) অন্যতম। স্বনামধন্য কোম্পানিটি ১৯৮৪ সাল থেকে এই ধারা অনুযায়ী আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে এবং অতিবাহিত করেছে সুপরিকল্পনার সাফল্যমণ্ডিত ২৮টি বছর। এই সময়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তিন শতাধিক আবাসন প্রকল্প সম্পন্ন করে গ্রাহক পর্যায়ে তিন হাজারেরও বেশি ফ্ল্যাট হস্তান্তর করেছে তারা। শুধু ব্যবসা নয়, আবাসন সঙ্কট নিরসনেও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। সময়ের চাহিদায় বর্তমানে ‘রি-ডিফাইন লাইফস্টাইল’ মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে পথ চলছে কোম্পানিটি।
সময়ের সঙ্গে
সময়ের প্রয়োজনে জীবনযাপনের সংজ্ঞা বদলে যেতে পারে। সেই সঙ্গে পাল্টে যেতে পারে আবাসন ব্যবস্থাও। বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট ব্যবসার পথিকৃত্ দাবিদার বিটিআই এ নিত্য ধারণায় বিশ্বাস করে বলেই রিয়েল এস্টেট সেক্টরে এতদূর আসতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করেন গ্রাহকরা।
কোম্পানির কর্মকর্তারা জানান, সদা পরিবর্তনশীল চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি মার্কেট সেগমেন্টেই সেরা গুণগত মান নিশ্চিত করা ছাড়াও বিটিআই তাদের প্রজেক্টগুলোতে এমন কিছু দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যা অন্যদের থেকে তাদের সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র রাখে। বিটিআই শুধু গুণগত মানেই বিশ্বাস করে না, ব্যবসার প্রতিটি পদক্ষেপেই তা পালন করার জন্য সচেষ্ট থাকে। বিটিআই শুধু রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) প্রতিষ্ঠাতা সদস্যই নয়, বাংলাদেশের প্রথম কনস্ট্রাকশন কোম্পানি-যারা ‘ডিজাইন ও কনস্ট্রাকশন অব বিল্ডিং’-এ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইএসও ৯০০১:২০০০ সার্টিফিকেট অর্জন করেছে।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে অ্যাপার্টমেন্ট হস্তান্তর করার মধ্য দিয়ে গ্রাহকদের পূর্ণ আস্থা অর্জন করেতে সক্ষম হয়েছে কোম্পানিটি। এই সাফল্যের যাত্রায় বিটিআই তাদের ক্রেতাদের চাহিদা ও আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি সব সময় লক্ষ রেখেছে। বিটিআই বিশ্বাস করে প্রত্যেকেরই চাহিদা ভিন্ন এবং সে অনুযায়ী তাদের স্বপ্নের আবাস গড়তে তাদের নিজস্ব একটা প্রয়াস থাকে। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে আসছে। আর এ কারণেই বিটিআই গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে। এই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে নেতৃস্থানীয় অবস্থানে এসেও বিটিআই কীভাবে নিজেদেরকে আরও উন্নতির পথে এগিয়ে নেওয়া যায় তা নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বিটিআই গর্বের সঙ্গে বলতে পারে যে আবির্ভাবের শুরু থেকেই তারা সব ধরনের গ্রাহকের প্রয়োজন উপলব্ধি করতে পেরেছে। তাই প্রায় ১৬০০ কোম্পানি এদেশের আবাসন ব্যবসায় কাজ করলেও একমাত্র বিটিআই-ই স্বতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যের দাবিদার।
চলমান প্রকল্প
বর্তমানে ঢাকার ১২টি লোকেশনে বিটিআইয়ের ফ্ল্যাট বিক্রি হচ্ছে। প্রকল্পগুলো হচ্ছে-উত্তরার কিংসওয়াক, বিলিসিমো, দ্য সিটিডেল, দ্য রেইনবো ও ফার্নডেল, গুলশানের সলিটায়ার, দ্য ক্লাসিক, দ্য রিজেন্ট ও দ্য সাংগ্রেলা, ইস্কাটনের সামারলিন, নিউ ডিওএইচএসের অনুমিতা এবং তেজগাঁওয়ের দ্য লুমিনারি।
চট্টগ্রামের মনোরম লোকেশনে বেশ কিছু আকর্ষণীয় প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে বিটিআই। প্রজেক্টগুলো হল-ওআর নিজাম রোডে দ্য এক্লেইম, জাকির হেসেন রোডে দ্য জেম, পশ্চিম খুলশীতে বিটিআই ল্যান্ডমার্ক, আমিরবাগে দ্য রিভিয়েরা, নাসিরাবাদে দ্য প্রিন্সেস, বেভারলি হিলস এলাকায় দ্য বিভারলি হিলস এবং চাঁদমারী রোডে দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট।
এ ছাড়াও অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে পাঁচলাইশে দ্য গ্যালাক্সি, আগ্রাবাদে মেট্রোপোল, জাকির হোসেন রোডে দ্য উইন্ডসর এবং রহমতগঞ্জে সাত্তার ভিলা। নতুন এই প্রজেক্টগুলো চট্টগ্রামের সেরা জায়গাগুলোতে নেওয়া হয়েছে। প্রজেক্টগুলোতে সর্বাধুনিক সুবিধা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে বিটিআই চট্টগ্রামের আবাসন ব্যবসায় এক নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে। বিটিআই সব সময়ই গ্রাহকদের এমন কিছু সুবিধা প্রদান করতে চায়, যা তাদের চাহিদার চেয়েও বেশি কিছু নিশ্চিত করে, যা নিঃসন্দেহে বাজারে অন্যদের থেকে অনেক ভালো অফার হিসেবে গণ্য হয়। সুশিক্ষিত কাস্টমার সার্ভিস এক্সিকিউটিভ, সেরা আর্কিটেক্ট ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের সঙ্গে সরাসরি আলাপের পাশাপাশি অ্যাপার্টমেন্টে অসংখ্য অপশনের মধ্যে নিজের পছন্দসই অ্যাপার্টমেন্ট বেছে নেওয়ার সুবিধা দিয়ে ভবিষ্যতেও বিটিআই গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।