ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন স’ানে আর্বজনার স’প থাকায় জনজীবন বিপর্যসত্ম হয়ে পড়েছে। মহাসড়কের পাশ দিয়ে হাটলে অথবা যানবাহনেন চলাচল করলে মুখে রম্নমাল দিলে চলাচল করতে হচ্ছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের জয়দেবপুর চৌরাসত্মা থেকে মির্জাপুর পর্যনত্ম এলাকার বিভিন্ন স’ানে এসব আর্বজনার স’প লড়্গ্য করা যায়। বিশেষ করে কড্ডা র্রীজের দুই পাশে, সফিপুর হ্যাম্পটন ব্রীজ স্কুল এন্ড কলেজের সামনে, আনসার ভিডিপি একাডেমীর সামনে, মহিষ বাথান বটতলা, চান্দরা পলস্নীবিদ্যুৎ এপেক্স ফুটওয়ার কারখানার সামনে মহাসড়কের দুই পাশে এসব আবর্জনার স’প লড়্গ্য করা যায়। খালি বোতল, বোতলের কর্ক, বাসা বাড়ির ময়লা ও ছেঁড়া কাগজ, নিষিদ্ধ পলিথিন, মূল সড়কের ওপর আবর্জনা বলতে যা বোঝায়, তার সবই রয়েছে এসব আর্বজনার স’পে। সঙ্গে আছে শিল্পকারখানার বর্জ্য মিশ্রিত জমে থাকা নোংরা পানি, যা মশার প্রজননের উৎকৃষ্ট পরিবেশ। কালিয়াকৈর পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস’াপনা বিভাগ বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাচ্ছেন। তার পরও সড়কের ওপর ময়লা-আবর্জনা ফেলে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করা হচ্ছে।
কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান বলছেন, সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাবে সড়কের ওপর ময়লা-আবর্জনা ফেলে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করা হচ্ছে। আর এর দায় নিতে হচ্ছে পৌরসভার পরিচ্ছন্ন বিভাগকে। অথচ কালিয়াকৈর পৌরসভার পড়্গ থেকে আর্বজনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কয়েকটি স’ানে ডাস্টবিন তৈরি করে দেয়া হয়েছে। তার পরও ওইসব ডাস্টবিন ব্যবহার না করে ময়লা আবর্জনা বাইরে ফেলে পরিবেশ নোংরা করা হচ্ছে। এ কারণে পথচারীদের নাকে রম্নমাল দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে গতকাল বুধবার সকালে ওইসব এলাকায় দিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দুই পাশে ওইসব স’ানে যত্রতত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের আবর্জনা। এসব আর্বজনার মধ্যে রয়েছে সিগারেটের খোসা, ফেনসিডিলের বোতল, বিভিন্ন প্রকার পানীয়র খালী বোতল, চুলাই মদের ঠোঙ্গা, ছেড়া কাগজ, তরকারীর খোসা, আনারসের ছাল, ছেড়া জামাকাপড়, ছেড়া জুতা পড়ে রয়েছে। এসব আবর্জনা পঁেচ দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বলে মহাসড়কের উপর দিয়ে চলাচল করা দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি কালিয়াকৈর পৌরসভার বিভিন্ন স’ানে গড়ে ওঠা শিল্পকারখানার মালিক/কর্তকর্তাদের এক যৌথ সভায় মহাসড়কের পাশের এভাবে আবর্জনার স’প থাকার ব্যাপারে ব্যবস’া গ্রহনের দাবী জানানো হয়।
এপেক্স ফুটওয়ার লিমিটেডের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, রাতের আধারে পৌরসভার পরিচ্ছন্ন বিভাগের লোকজন আমাদের কারখানার সামনে এসব আর্বজনা ফেলে স’প তৈরি করছেন। পৌরসভার মেয়রকে এসব আর্বজনা ওইস’ান থেকে সড়িয়ে ফেলার অনুরোধ করে তিনবার আবেদন করা হয়েছে । এমনকি পৌর এলাকার শিল্পকারখানা কর্তপড়্গের সাথে পৌরসভার এক মতবিনিময় সভায় মেয়র এসব আবর্জনার স’প সড়ানোর প্রতিশ্রম্নতির দেয়ার ৩ মাস অতিবাহিত হলেও কোন ব্যবস’া গ্রহনা করা সম্ভব হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার চান্দরা পলস্নীবিদ্যুৎ এলাকার আর এস নীট কম্পোজিট লিমিটেড ও এপেক্স ফুটওয়ার লিমিটেড নামক পোশাক তৈরি কারখানার কয়েকজন শ্রমিক অভিযোগ করে বলেন, দূরদূরানত্ম থেকে আবর্জনা এনে এখানে রাতের আধার ফেলা হচ্ছে। পৌরসভা কর্তপড়্গ পরিষ্কারের করতে কোন ব্যবস’া গ্রহন করছেন না। ফলে এসব আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। লোকজনকে রাসত্মায় চলাচল করতে নাকে রম্নমাল দিতে হচ্ছে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ছাড়াও কালিয়াকৈর পৌরসভার সফিপুর পুর্বপাড়া, সফিপুর বাজার, পুর্ব চান্দরা, ডাইনকিনি, হরিণহাটি, চান্দরা মন্ডলপাড়া এলাকার কয়েকটি স’ানে রাসত্মা পাশে এরকম আবর্জনার স’প রয়েছে। যার ফলে ওইসব এলাকার লোকজন অস্বসি’তে বসবাস করছেন। পৌর কর্তপড়্গকে বারবার অবহিত করা হলেও কোন ব্যবস’া নেয়া হচ্ছে না।