হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ যথাসাধ্য দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা চলছে। শুক্রবার রাতের ফ্লাইটে তার মরদেহ দেশের উদ্দেশে পাঠানো হবে বলে লেখকের পরিবার ও মিশন কর্তৃপক্ষ সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার বাদ জুমা জ্যামাইকার মুসলিম সেন্টারে প্রথম নামাজে জানাজা হবে।
জনপ্রিয় লেখক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ২২ মিনিটে বেলভিউ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহে… রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। জাতিসংঘের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার সময় সামনে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, শাশুড়ী তহুরা আলী এমপি, ভাই লেখক ও অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন, মিসেস সেলিনা মোমেন প্রমুখ।
হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। মিডিয়াকর্মী ও প্রবাসী বিশিষ্টজনেরা হাসপাতালে ছুটে যান।
হুমায়ুন আহমেদ দীর্ঘদিন ক্যান্সার রোগে ভুগছিলেন এবং নিউইয়র্কে তার চিকিৎসা চলছিল। গত কয়েকদিন ধরে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে।
মিশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হুমায়ুন আহমেদের মরদেহ দ্রুত বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা চলছে। শুক্রবার রাতের ফ্লাইটে মরদেহ দেশের উদ্দেশে পাঠানো হবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশের প্রথিতযশা লেখক-চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, ‘এমন বরেণ্য লেখকের অভাব সহজে আর পূরণ হবার নয়। হুমায়ূন আহমেদ তার সাহিত্যকর্মে যুব-পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পেরে একটি পাঠক শ্রেণি গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন, যে কথা আজ সবার মুখে ঘুরে-ফিরে আসছে।
তিনি বলেন, হুমায়ুন আহমেদ তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিশক্তি দিয়ে বাংলাদেশের নাটক-সিনেমাকে করেছেন অনুপুঙ্খ জীবন ঘনিষ্ঠ এবং সৃজনশীল। তাই এই সৃষ্টির মাঝেই তিনি অমর হয়ে থাকবেন। তিনি যুগযুগান্তর সমাজ-সভ্যতার মধ্যে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন তার সৃষ্টিশীল কর্মের মাঝে।