বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এমপি বলেছেন, ঈদের পর বিএনপির আন্দোলন চরম পর্যায়ে যাবে। প্রয়োজনে লাগাতার হরতাল দেওয়া হবে। সেই আন্দোলনে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল করতে বাধ্য হবে।

শুক্রবার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবিধানিক অধিকার ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী নিজেদের অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করার নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে যে চাঁদা তুলেছেন, তার আইনগত কোনো ভিত্তি নেই বলে মন্তব্য করে মওদুদ বলেন, ‘‘এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।’’  

সরকারের উদ্দেশ্যে মওদুদ বলেন, ‘‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি মেনে নিন। এ দেশের জনগণ দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না। অত্যাচার, জুলুম, লুটপাট, দুর্নীতি বন্ধ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে ঈদের পর লাগাতার কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বিএনপি।’’  

তিনি বলেন, ‘‘ঈদের পর বিএনপির আন্দোলন চরম পর্যায়ে যাবে। আন্দোলনে সংবিধান সংশোধন করতে বাধ্য হবেন। কারণ কোনো গণতন্ত্র রাষ্ট্রে সংসদ জীবিত রেখে নির্বাচন হয় পৃথিবীর কোথাও নেই।’’

‘‘সংসদ জীবিত রেখে নির্বাচন অসাংবিধানিক। যে ভয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে চান না, তার চেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হবে। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি মেনে নেন, তাহলে অন্তত সন্মানের সঙ্গে বিরোধী দলে থাকতে পারবেন, না হলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতি নিচু মানের কথা বলেন অভিযোগ করে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে দুর্নীতিবাজ দেশ হিসেবে প্রমাণ করেছে। তারপরও প্রধানমন্ত্রী সেই দুর্নীতিবাজদের বিচার না করে বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে কথা বলছেন।

তিনি বলেছেন, ‘‘এখনো সময় আছে, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিয়ে অল্প সুদে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে পদ্মাসেতু নির্মাণ করা সম্ভব। সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা নিজস্ব ‍অর্থায়নে করা সম্ভব নয়। আসলে এই সরকার সেতু করার নামে চাঁদাবাজি শুরু করছে।’’

তিনি বলেন, এই চাঁদাবাজির প্রথম দিনেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে ৯শ’ টাকার জন্য জীবন দিতে হয়েছে। এ হত্যার জন্য কে দায়ী হবে? প্রধানমন্ত্রী এ হত্যার জন্য দায়ী।

সৈয়দ মারগুব মোর্শেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বত্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, বিএনপির আরেক কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল গফুর ভূঁইয়া, সাংবিধানিক অধিকার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জন ঘোষ প্রমুখ।