শ্রমমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়িভাড়া বাড়ার কারণে সারা দেশে শ্রমিক অসন্তোষ হচ্ছে। তৈরি পোশাকশ্রমিকদের বেতন সীমিত। কিন্তু বাড়িভাড়া দুই-তিন দফা বাড়ানো হয়। তাই বেতন বাড়ানোর চেয়ে বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন।

আজ বুধবার শ্রম মন্ত্রণালয়ে তৈরি পোশাক খাতের দেশি-বিদেশি ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করার পর মন্ত্রী এ কথা জানান।

আজকের বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রম মন্ত্রণালয়েরে ভারপ্রাপ্ত সচিব মিকাইল শিপার, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ, বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বিজিএমইএর ক্রেতা বিষয়ক পরামর্শক জেনিফার জব্বার।

শ্রমমন্ত্রী বাড়িভাড়া আইন কঠোরভাবে প্রয়োগের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
তৈরি পোশাক খাত নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা গত মাসে বলেছিলেন, এখানে তৈরি পোশাকশিল্পের অবস্থা খারাপ। এ জন্য ক্রেতাদের পক্ষে কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

শ্রমমন্ত্রী আজ মজীনার এ বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। পোশাক খাতে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার মতো পরিবেশ নেই বলে তাঁরা মনে করেন না; বরং এখানে কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব বলেই তাঁরা মনে করেন। তবে শ্রমিক অসন্তোষ অব্যাহত থাকলে ব্যবসার কিছুটা ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।’

শ্রমিকনেতা আমিনুলের হত্যা বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘শুধু আমিনুল নয়, অনেক হত্যাকাণ্ডই ঘটেছে। সরকার প্রতিটি হত্যাকাণ্ডকে সমান গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে।’