যোগাযোগ ও রেলমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্পটি এ মুহূর্তে আমার কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে নেই। এখন আমার কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে রাস্তাগুলো যান চলাচলের উপযোগী করা। ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতে যাতে কষ্ট না হয়, সে ব্যবস্থা করা। এটি আমার কঠিন পরীক্ষা। পরীক্ষায় আমি ব্যর্থ হতে পারব না।’

আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রী বরগুনায় বেহাল রাস্তা পরিদর্শন করতে ঝটিকা সফরে যান। এরপর স্থানীয় চরকলোনি এলাকায় অবস্থিত বাসস্ট্যান্ডে ‘বেহাল সড়ক উন্নয়ন কমিটি’ আয়োজিত এক সভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই পদ্মা সেতুর দায়িত্ব নিয়েছেন। অবশ্যই এ বছরের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হবে।

সড়ক ও জনপথের (সওজ) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাস্তা নিয়ে কোনো অজুহাত আমি শুনব না।’ এখন বর্ষা মৌসুম, তাই রাস্তাগুলো কার্পেটিং করা সম্ভব নয়। ইট-বালু দিয়ে খানাখন্দ মেরামত করা কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

আজ সকাল ১০টার দিকে মন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে পটুয়াখালী পৌঁছান। সেখান থেকে সড়কপথে বরগুনায় যান। সেখানে তিনি বরগুনা-কাকখিরা, বরগুনা-বেতাগী সড়ক পরিদর্শন করেন।

এ সময় তিনি ওই দুটি সড়ক ও বরগুনা-চান্দখালী-বাকেরগগঞ্জ সড়কের ৮০ কিলোমিটার রাস্তা আগামী সাত দিনের মধ্যে চলাচলের উপযোগী করার নির্দেশ দেন। অন্যথায় সওজের প্রধান প্রকৌশলী, বরিশাল বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।

সফরকালে মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সওজের প্রধান প্রকৌশলী আমিনুর রহমান লস্কর, বরিশাল বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তাপস কুমার পাল, বরগুনার জেলা প্রশাসক মজিবুর রহমান, জেলা পরিষদ প্রশাসক জাহাঙ্গীর কবির প্রমুখ।