একটি সালিশে ছাত্রলীগের এক নেতাকে কুপিয়ে জখমের পর তার সমর্থকরা শহরের হামলা চালিয়ে কয়েকটি দোকান ভাংচুর করেছে। এক পর্যায়ে দোকানিরা পাল্টা হামলা চালিয়ে আগুন দিয়েছে দুটি মোটর সাইকেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের ভায়না এলাকায় শালিসে হামলার শিকার হন জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রুহুল আমিন। তার সঙ্গে আহত হন আরো তিনজন।
জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আলী হোসেন মুক্তা সাংবাদিকদের বলেন, বেলা ৩টার দিকে সালিশ বৈঠকে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে একটি সশস্ত্র দল হামলা চালায়। তারা রুহুল আমিনকে কুপিয়ে জখম করে।
ওই হামলায় রুহল আমিনসহ চারজন আহত হন। চারজনকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানান হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত ব্রাদার শহিদুল ইসলাম।
তবে পরে ছাত্রলীগ নেতা রুহুল আমিন ও আয়ুব হোসেনকে ঢাকায় পাঠানো হয়। রাব্বি ও লিটন নামে অন্য দুজন মাগুরার হাসপাতালেই রয়েছেন।
এদিকে ভায়না এলাকার এই ঘটনার পর ছাত্রলীগের অন্য একটি দল শহরে ঘণ্টাব্যাপী সশস্ত্র মহড়া দেয়। এক পর্যায়ে তারা আতর আলী রোডে বেবী প্লাজায় অর্নব কসমেটিকস, এম আর রোডের তামান্না গ্লাস হাউজ ও কেশব মোড় এলাকায় জননী এন্টারপ্রাইজ নামে একটি মোটর সাইকেলের দোকান ভাংচুর করে।
জননী এন্টারপ্রাইজের মালিক বিল্লাল হোসেন রুবেল বলেন, “আমার দোকানে সাতটি নতুন মোটর সাইকেলসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে হামলাকারীরা।”
কেশব মোড়ে জননী এন্টারপ্রাইজে হামলার সময় ওই এলাকার দোকানি ও বাসিন্দারা পাল্টা হামলা চালায়। তারা হামলাকারীদের দুটি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়। পরে দমকলকর্মীরা এসে আগুন নেভায়।
ছাত্রলীগের দুই পক্ষের এই সশস্ত্র সংঘাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়।
এদিকে ভাংচুরের ঘটনায় জেলা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির রাজার নেতৃত্বে একটি দল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে এর বিচার দাবি করেন।
সংঘর্ষের পর শহরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
মাগুরা সদর থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত।
তবে এই ঘটনায় কেউই গ্রেপ্তার হয়নি বা কোনো পক্ষই থানায় মামলা করেনি বলে জানান তিনি।