বাঘ সুন্দরবনের রক্ষক। বাঘের উপস্থিতির কারণেই সুন্দরবনের বৈচিত্র্য আজো অটুট রয়েছে। কাজেই সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হলে বাঘ সংরক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। ‘বাঘের আবাসস্থল সুন্দরবন বাঁচান’ এই প্রতিপাদ্য সামনে নিয়ে গতকাল বিশ্ব বাঘ দিবস উপলক্ষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বন বিভাগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারের বিশেষ অগ্রাধিকার ও আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুসারে সুন্দরবনের বাঘ রক্ষার জন্য আমরা সবসময়ই সচেষ্ট। আন্তর্জাতিক ঘোষণা অনুসারে সু্ন্দরবনে বাঘ ও হরিণের সংখ্যা ধারণ ক্ষমতার মধ্যে রেখে অবৈধ হরিণ শিকার বন্ধ, আবাসস্থলের উন্নয়ন ও নিয়মিত টহল প্রদান করে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য যথোপযুক্ত উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।

বাঘ ও হরিণসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীর শিকার বন্ধের জন্য অধিকতর শাস্তির বিধান রেখে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ নামে একটি আইন ইতিমধ্যে কার্যকর হয়েছে।

বর্তমান সরকার ন্যাশনাল টাইগার রিকভারি প্রোগ্রাম ও বাংলাদেশ টাইগার এ্যাকশান প্লান করেছে। সুন্দরবনের চার পাশের গ্রামগুলোতে বন বিভাগ ও স্থানীয় জনসাধারণের সমন্বয়ে টাইগার রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে যাতে লোকালয়ে বাঘ আসা মাত্র খবরাখবর আদান-প্রদান ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের সহায়তাপুষ্ট কোনো প্রকল্পে কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাবের প্রশ্নই ওঠে না। আমাদের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো।

বিশ্বব্যাংক আমাদেরই ব্যাংক। কারণ বিশ্বব্যাংকে আমরাও চাঁদা দিই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের প্রশংসা করায় বিরোধী দল প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেছে।