জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্র্যের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলার বাদি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হাফিজুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে কেন তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে না, তার কারণও জানাতে বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
মঙ্গলবার উপাচার্য কাজী শহিদুল্লাহর সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে উপউপাচার্য অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী জানিয়েছেন।
প্রভাষক হাফিজের কম্পিউটারে থাকা ‘আপত্তিকর’ তথ্য, মামলার কাগজ ও নথি জব্দ করা হয়েছে বলে সিন্ডিকেটের একজন সদস্য জানিয়েছেন।
অধ্যাপক তোফায়েল বলেন, চাকরি বিধি লঙ্ঘন ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রভাষক (শিক্ষা) হাফিজুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করার এবং কেন তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না, তা জানাতে নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
হাফিজের কাজে সহযোগিতা করায় শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন ড. এস এম আবু রায়হানকেও কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অধ্যাপক তোফায়েল বলেন, “আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের ওই নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে।”
সম্ú্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে প্রভাষক হাফিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করছেন।
এ ঘটনায় সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন ড. সায়েদা বানুকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রভাষক হাফিজ জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশনে স্থানান্তরিত হয়।