এশিয়ার বৃহত্তম গ্যাস ক্ষেত্র বিবিয়ানায় চাকুরীর দাবীতে আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ। রহস্যজনকভাবে সম্প্রতি অর্ধশতাধিক লোককে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেয়া ও স্থানীয় লোকদের চাকুরী না দেয়ায় ফুসে উঠেছে নবীগঞ্জের আউশকান্দি ইউনিয়নের জনগণ।
জানা যায়, উপজেলার আউশকান্দি কিবরিয়া চত্ত্বরের নিকটবর্তী স্থানে চলছে এশিয়ার বৃহত্তম গ্যাস কূপ বিবিয়ানার সাউথ সাউথ প্যাডের নির্মাণ কাজ। বিবিয়ানা গ্যাস, জমির ন্যায্য মূল্য ও চাকুরীর দাবীতে প্রতিদিনই উপজেলার কোনো না স্থানে চলছে সভা সমাবেশ।
গত ১লা জুলাই বিবিয়ানার সাউথ সাউথ প্যাডের নির্মাণ কাজে নিয়োজিত মীর আক্তার নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হঠাৎ করে রহস্যজনকভাবে প্রায় অর্ধ শতাধিক শ্রমিককে কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়। ফলে বেকার হয়ে পড়া অর্ধশতাধিক শ্রমিক চাকুরীর দাবীতে রমজান শুরুর পূর্বে আন্দোলনে গেলে বিবিয়ানায় নিয়োজিত শেভরন বাংলাদেশ ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মীর আক্তার গ্রুপ স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে ২য় রমজানে সমঝোতা বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করে। কিন্তু ওই নির্ধারিত তারিখে রহস্যজনক ভাবে সমঝোতা বৈঠক বয়কট করে শেভরন ও মীর আক্তার গ্রুপ এমন অভিযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা।
ফলে আজ বুধবার সকালে আবারো চাকুরীর দাবীতে স্থানীয় আউশকান্দি ইউনিয়নের জনগণ আন্দোলনের ডাক দেয়। এবং বিাক্ষুব্ধ জনতা সকাল থেকেই বন্ধ করে বিবিয়ানার সাউথ সাউথ প্যাডের নির্মাণ কাজ। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামসুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌছে বিক্ষোভকারীদের সাথে আলাপ করেন এবং কোনোরুপ অস্থিরতা ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভাবে কর্মসূচী পালনের আহবান জানান। আন্দোলনের মূখে সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকে।
পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দিলাওয়ার হোসেন এর মাধ্যমে শেভরন বাংলাদেশ চাকুরী ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাসে আবারো এক সমঝোতা বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করেন। ফলে বিক্ষোভকারীরা সাময়িকভাবে আন্দোলন স্থগিত করেন। পরে বিক্ষোভকারীরা এক পথ সভায় মিলিত হন। উক্ত পথ সভায় বক্তব্য রাখেন হোসাইন আজাদ হেলাল, কামরুল ইসলাম, আব্দুল মোহিত শামীম, মশাহিদ মিয়া মসন, জুনেদ আহমদ প্রমূখ।
বক্তাগণ বলেন, আমাদেরকে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে লোক এনে কাজ করাচ্ছে মীর আক্তার গ্রুপ, এমনটি হতে দেয়া হবেনা। এক দফা এক দাবী বিবিয়ানায় চাকুরী না দিলে আবারো তারা কঠোর কর্মসূচী দিবেন বলে হুঁসিয়ারী দেন বক্তাগণ।