বিচারকদের চোখে ধরা পড়লে তিনি হয়ে যেতেন ডিসকোয়ালিফাইড। অথচ সাতারের ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে তিনি বিশ্বরেকর্ড গড়ে জিতেছেন স্বর্ণ। বিশ্বরেকর্ড গড়ার পরও তাই দক্ষিণ আফ্রিকান সাঁতারু ভন ডার বার্গ এখন ভিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার এ সাঁতারু পুলে সাঁতরানোর সময় ধরা পড়েননি, সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েই জিতেছেন ১০০ মিটার ব্রেস্টস্টোকের সোনা। অথচ এখন নিজেই বলছেন প্রতারণা করে সোনা জিতেছেন তিনি লন্ডন অলিম্পিকে!
ব্রেস্টস্ট্রোকে সাঁতারের শুরুতে কিংবা প্রান্ত বদলের সময় পানির নিচে সাঁতারুরা একবার করে ডলফিন কিক করতে পারেন। লন্ডনে ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকের ফাইনালের রিপ্লেতে ধরা পরে ভন ডার বার্গের প্রতারণা।
দেখা যায় সাঁতার শুরুর ডাইভের পর একবার নয়, তিন তিনবার এই ডলফিন কিকের সুবিধা নিয়েছেন। বিচারকদের চোখে ধরা পড়লে নির্ঘাত ডিসকোয়ালিফাইড হতেন। তবে সেই মুহূর্তে বিষয়টি সবার চোখ এড়িয়ে যায়। এরপর শুরু হয় বিতর্ক। মুখে কুলুপ এঁটে রাখতে পারেননি ভন ডার বার্গও। সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে দেওয়া সক্ষাৎকারে বাড়তি ডলফিন কিক নেওয়ার কথা নিজেই স্বীকার করে নেন তিনি।
তবে এ জন্য নিজেকে মোটেও অপরাধী ভাবছেন না ম্যান্ডেলার দেশের এ সাঁতারু। তুলে ধরেছেন তার পক্ষের যুক্তিও। বলেছেন, ‘এ কাজ কেউ না করে তাহলে সে পিছিয়ে পড়বে। যদি নৈতিকতার প্রশ্ন ওঠে তাহলে এমনটা করা উচিত নয়। তবে চার বছরের কঠিন পরিশ্রমের পর অন্যের জন্য নিজের ব্যক্তিগত নৈপুণ্য বিসর্জন দিতে পারি না।’
অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ার পরও কিন্তু আইনগতভাবে সোনার পদকটি হারানোর ভয় নেই বার্গের। কেননা সাঁতারে আন্ডারওয়াটার রিপ্লে রিভিউ নিয়মটি এখনো চালু হয়নি। ২০১০ সালের হিটে এর কার্যকারিতার পরীক্ষা ব্যাপক সফলতা পেলেও আন্তর্জাতিক আসরে এখনো এটি প্রবর্তন করেনি ফিনা। আর এ সুযোগইে প্রতারণা করে পার পেয়ে গেলেন বার্গ। ওয়েবসাইট।