অলিম্পিকের প্রথম স্বর্ণপদক জয়ের স্বপ্ন নিয়ে লন্ডনে এসেছিলো পাঁচবারের ফুটবল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। কিন্তু স্বপ্ন বাস্তাবে রূপ নেয়নি। তাদের হতাশ করে উল্টো প্রথম বারের মতো অলিম্পিক স্বর্ণপদক জিতেছে মেক্সিকো। শনিবার ফাইনালে ব্রাজিলকে ২-১ গোলে হারিয়েছে তারা।  

ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে বল গড়ানোর পর দর্শকরা নড়েচড়ে বসার সময় পাননি। ৩২ সেকেন্ডে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ব্রাজিলের জালে বল। তা পাঠিয়েছেন মেক্সিকোর ফরোয়ার্ড পেরালতা। দর্শকরা যে আশা নিয়ে ঢাকঢোল বাজিয়ে গ্যালারি মুখর করতে চেয়েছিলেন তা শান্ত হয়ে যায় মুহূর্তে। থেমে যায় সাম্বা নৃত্য। 

অলিম্পিক গেমস কোন দিন পয়া হয়ে আসেনি ব্রাজিল ফুটবল দলের জন্য। প্রতিযোগিতায় কোনোবারই স্বর্ণপদক জেতেনি। সে হতাশা ঘুচাতেই লন্ডনে মাঠে নেমেছিলেন নেইমাররা। কিন্তু তারা প্রথম হতে পারলেন না। প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ার পর আক্রমণে ধার বাড়ায় ব্রাজিল। তারপরও সাফল্যের মুখ দেখেনি লাতিন ফুটবল পরাশক্তি। 

জালের নাগাল পাননি সান্তোস তারকা নেইমার। মূলত তাকে বোতল বন্দী করে ফেলেন মেক্সিকোর খেলোয়াড়রা। যদিও প্রতিপক্ষের রক্ষণভেঙে দু’একবার গোলে শট নেন ২০ বছর বয়সী নেইমার। কিন্তু তাকে হতাশ করেন গোলরক্ষক করোনা। নেইমারের মতো ব্যর্থ হয়েছেন দামিয়াও এবং মার্সেলো।

বিশ্রামের পর আবারও এগিয়ে যায় মেক্সিকো। এবারও গোল করেন পেরালতা। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে আলেক্সান্দ্রো পাতোকে মাঠে নামান কোচ। মুহুর্মুহু আক্রমণ করেও মেক্সিকোর রক্ষণদুর্গে চিড় ধরাতে বেগ পেতে হয়েছে ব্রাজিলকে। শেষপর্যন্ত জয় না পেলেও খেলার অতিরিক্ত সময়ে একটি গোল শোধ করতে পারে তারা। গোল করেন হাল্ক। 

এর আগে দুইবার প্রতিযোগিতার ফাইনালে খেলেছে ব্রাজিল। ১৯৮৪ সালে ফ্রান্সের বিপক্ষে এবং চার বছর পর সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে হেরেছে। ফ্রান্সের কাছে ২-০ গোলে এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে ২-১ গোলের পরাজয় জুটেছিলো সাম্বাদের।