শুধু নারীরাই বাস করেন এমন একটি শহরের কথা কী ভাবা যায়? সে শহরে লেখাপড়া থেকে শুরু করে কর্মসংস্থান সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন নারীরাই। হ্যাঁ পাঠক, সৌদি আরব শুধু নারীদের জন্যই একটি পূর্ণাঙ্গ শহর তৈরির পরিকল্পনা করছে।

ইসলামী শরিয়া আইন ও ক্যারিয়ার দুটিরই সমন্বয় ঘটিয়ে যেসব নারী তাদের জীবন পরিচালিত করতে চান তাদের কথা মাথায় রেখে এ শহর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলের হাফুফ এলাকায় ব্যতিক্রমী এ শহরটি তৈরির চিন্তাভাবনা চলছে। বর্তমানে শহরটির নকশা তৈরির কাজ চলছে। আগামী বছর অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হবে। শহরটিতে মেয়েদের জন্য স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হবে। লেখাপড়া শেষে ক্যারিয়ার উপযোগী চাকরিতে যাতে তারা ঢুকতে পারেন সে জন্য সেখানে তৈরি করা হবে কর্মসংস্থানমূলক প্রতিষ্ঠান।

সরকার পোশাক, ওষুধ ও খাদ্য বিষয়ক এসব প্রতিষ্ঠান তৈরির প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে পাঁচ হাজার নারী চাকরির সুযোগ পাবেন। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক কাজে যারা থাকবেন তারাও নারী। কোনো পুরুষ এসব প্রতিষ্ঠানে থাকতে পারবেন না। আর সবকিছু বাস্তবায়ন করা হবে ইসলামী শরিয়া আইনের ওপর ভিত্তি করে।

সবকিছু ঠিক থাকলে শহরটি যদি তৈরি হয়ে যায় তাহলে এটিই হবে শরিয়া আইনের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের প্রথম নারী শহর। সাধারণত কঠোর শরিয়া আইন নারী ও পুরুষের মধ্যে সমানাধিকার নিশ্চিত করে না।

অনেক বিষয়ে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করলেও বিশেষ করে বিয়ে এবং উত্তরাধিকার আইনে নারীদের পুরুষের সমান অধিকার দেওয়া হয় না। তাই শুধু নারীদের কথা মাথায় রেখে এ রকম একটি ব্যতিক্রমী শহর তৈরি করা হলে তাতে ভারসাম্য কতটুকু রক্ষা হবে তা সময়ই বলে দেবে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ডেইলি মেইল।