উপস্থিত দর্শকের মন জয় করে বিশ্বসুন্দরী ২০১২-এর খেতাবটি জয় করলেন চীনের উ ওয়েনশিয়া। উল্লসিত এই বিশ্বসুন্দরী বলেন, আমি মন খুলে হাসতে ভালোবাসি, ভালোবাসি গান করতে। মঙ্গোলিয়ার গোবি মরুভূমির অদূরে অরডোস শহরে উল্লাসধ্বনি আর আতশবাজির জলসায় ২৩ বছর বয়সী ওয়েনশিয়ার মাথায় মিস ওয়ার্ল্ড শিরোপাটি পরিয়ে দেওয়া হল।

রেকর্ড সংখ্যাক ১১৫ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে ঝলমলে নীল গাউন পরিহিত উ ওয়েনশিয়া সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেন তার উপস্থিত বুদ্ধি আর সাবলীলতায়। গত বছরের মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জয়ী ভেনিজুয়েলার ইভিয়ান সার্কোস যখন ওয়েনশিয়াকে তার মুকুটখানা পরিয়ে দিলেন, তখন দর্শকদের উচ্ছ্বাসে যেন ভেঙে পড়ছিল ডংশেং স্টেডিয়ামটি। পুরস্কার মাথায় তুলে নিতে নিতে ওয়েনশিয়া জানালেন, সংগীত নিয়ে লেখাপড়া শেষে এ বিষয়েই শিক্ষকতা করার ইচ্ছে আছে তার। কাজ করার ইচ্ছে আছে বিশ্বের দরিদ্র মানুষের জন্য। ছোটবেলায় সবার সাহচর্যে নিজেকে আমার সত্যিই খুব ভাগ্যবতী মনে হতো। তাই এই মুকুট জয়ের পর আমি বাচ্চাদের সাহচর্য দিতে চাই, করতে চাই সাহায্য। যাতে তারাও নিজেদের একটু বেশি ভাগ্যবান মনে করতে সক্ষম হয়। নিজেকে আপনি এই মুকুটের অধিকারী বলে কেন মনে করেন?

এ প্রশ্নের উত্তরে খুব সহজ ভাষায় বিশ্বমানবাতায় নিজের ভবিষ্যৎ অংশগ্রহণের আকাঙ্ক্ষাকে তুলে ধরলেন উ ওয়েনশিয়া। মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব চীন আগেও একবার অর্জন করেছে। ২০০৭ সালে এই খেতাব জেতেন আর এক চীনা সুন্দরী ঝ্যাং জিলিন। এ বছর প্রথম রানার্স-আপ হয়েছেন ১৯ বছর বয়সী এলিজাবেথ মোল্ডস। ওয়েলসের এই তরুণী পড়ছেন বিজনেস স্কুলে। আর ২৩ বছর বয়সী আইনের ছাত্রী অস্ট্রেলিয়ার জেসিকা কাহাওয়াটি হয়েছেন তৃতীয়।


১৯৫১ সাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতাটি আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। অর্থাৎ সেখানেই বিশ্বসুন্দরী ২০১৩-এর বিজয়ীর মাথায় মুকুটটি তুলে দেবেন আজকের সুন্দরীশ্রেষ্ঠা উ ওয়েনশিয়া।