লিবিয়ায় মোয়াম্মার গাদ্দাফির অনুগত বাহিনী পশ্চিমে বিদ্রোহিদের ঘাঁটি মিসরাতায় প্রচণ্ড হামলা চালিয়েছে। ফলে শরণার্থীদের উদ্ধার করে নিয়ে আসার জন্যে যে মানবিক উদ্ধার জাহাজ সেখানে পাঠানো হয়েছিলো, সেটি বন্দরে ভিড়তেই পারেনি । পশ্চিমের পাহাড়ি এলাকায় বার্বার সম্প্রদায়ের জনপদগুলোর ওপর হামলা অভিযানও গাদ্দাফি বাহিনী এখন বিস্তৃত করেছে ।

বিক্ষিপ্ত কূটনৈতিক প্রয়াস চলছে সংঘাত অবসানের লক্ষে – ওদিকে লড়াইও চলেছে লাগাতার। রাশিয়া বলছে, লিবিয়ার ব্যাপারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নতুন কোনো প্রস্তাবে তারা সমর্থন দেবেনা কেননা তাতে করে সংঘাত আরো ফুঁসে উঠতে পারে । জাতিসংঘে কূটনীতিকেরাও আর কোনো নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে এখনো মনস্থির করে উঠতে পারেননি । ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ লোক, প্রাণ ভয়ে লিবিয়া ছেড়ে পালিয়েছে এবং এঁদের বেশিরভাগই তৃতীয় বিশ্বের অভিবাসী শ্রমিক-মজদুর । যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দফতরের ডেপুটী এ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারী রূবেন ব্রিগেডি বলেছেন – সোমবার পর্যন্ত ১ লক্ষ ১৭ হাজার লোককে বিমান যোগে দেশে পাঠানো হয়েছে – এঁদের মধ্যে বাংলাদেশের লোক রয়েছেন, রয়েছেন ভিয়েতনামেরও।