জীবনের স্বাদ পাল্টানোর জন্য মাঝে টেলিভিশনে ‘দাদাগিরি’ শুরু করেছিলেন। মেয়ের ভারী স্কুলব্যাগ দেখে ব্যথিত পিতা বাচ্চাদের জন্য নতুন ধরনের একটা স্কুলও গড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু যার রক্তে ক্রিকেট তিনি কি আর খেলাটা ছেড়ে থাকতে পারেন!
চলি্লশোর্ধ্ব সৌরভ গাঙ্গুলি তাই ফিরে এসেছেন ক্রিকেটের ধারাভাষ্যে। কিন্তু কোট-টাই পরে মেকআপ নিয়ে ক্যামেরার সামনে বসে থাকাটা আর ভালো লাগছে না তার। তাই মনের মধ্যে জমে থাকা ইচ্ছার কথাই মিডিয়ার সামনে ঘটা করে জানিয়েই দিয়েছেন, ‘অবশ্যই কোচিংয়ে আমার আগ্রহ রয়েছে।
যদি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড মনে করে আমি ভালো কোচ হতে পারব, তাহলে আমি তৈরি ভারতীয় দলের দায়িত্ব নিতে। আমি বিশ্বাস করি, অধিনায়কত্বের মতো কোচিংয়েও আমি নতুনত্ব আনতে পারব। তবে সময়ই বলে দেবে আমি কী করব।’ হিন্দি নিউজ চ্যানেল আজতকে গতকাল স্পষ্টভাবে এ কথাটি বলার পরই গোটা মিডিয়ায় হৈচৈ পড়ে যায়।
কোচ হওয়ার ইচ্ছাটা সৌরভ গাঙ্গুলি এবারই প্রথম বলেননি, এর আগেও নিজের চলি্লশতম জন্মদিনে এমন একটা সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এ ব্যাপারেও তার পুরনো আত্মবিশ্বাসটাই সঙ্গ দিচ্ছে। ‘আমি এখনও মনে করি, কোনো দলের অধিনায়কই হচ্ছে সব, কোচ হচ্ছেন অধিনায়কের দলটির সমর্থনদাতা। আমি যখন ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব করেছি, তখনও এমন হয়েছে যে, মাঠের পরিস্থিতি মেনে টিম মিটিংয়ে ঠিক করা সিদ্ধান্ত থেকে বেরিয়ে এসেছি। কোচের দায়িত্ব হচ্ছে অধিনায়ককে সাহায্য করে যাওয়া।’
শুধু সৌরভ নন, অবসর নেওয়ার পর রাহুল দ্রাবিড়ও ভবিষ্যতে ভারতীয় দলের কোচ হতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। তাহলে কি এখানেও সৌরভ আর রাহুলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা? ‘কোচ, তিনি যিনিই হোন না কেন, হতে পারে রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গাঙ্গুলি কিংবা শচীন টেন্ডুলকার_ কোচের দায়িত্ব অধিনায়কের চাহিদামতো প্রত্যেককে মাঠের জন্য তৈরি করে দেওয়া।’ সৌরভের কোচ হওয়ার ইচ্ছাটি সামনে আসার পরই গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে, তাহলে কি বর্তমান কোচ ডানকান ফ্লেচারের পর ২০১৫ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের কোচের পদে দেখা যাবে সৌরভকে? উত্তরে বলেছেন, ‘এখনও বিশ্বকাপের তিন বছর বাকি