টেনিস জগতে বরাবরই এসেছে বিখ্যাত কিছু দ্বৈরথ। আন্দ্রে আগাসি-পিট স্যাম্প্রাস, বরিস বেকার-গোরান ইভানিসেভিচরা এখনো টেনিসপ্রেমীদের মনে জায়গা করে আছেন তাঁদের অবিস্মরণীয় সব দ্বৈরথের মধ্য দিয়ে। কিন্তু বর্তমান সময়টাই টেনিস দুনিয়ার সবচেয়ে সুবর্ণ যুগ বলে মন্তব্য করেছেন নোভাক জকোভিচ। সার্বীয় এইটেনিস তারকার মতে, বর্তমান সময়েই টেনিস জগত্দেখছে অসম্ভব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটা পরিস্থিতি। যেমনটা আগে কখনোই দেখা যায়নি। রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদালের দ্বৈরথ টেনিস বিশ্বে বেশ সুপরিচিত। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় কোনোভাবেই পিছিয়ে নেই নোভাক জকোভিচ ও অ্যান্ডি মারে। এ বছরেরচারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম গেছে চারজনের ঘরে। ফেদেরার-নাদাল, নাদাল-জকোভিচ দ্বৈরথের পর এখন টেনিসে জমে উঠেছে জকোভিচ-মারের দ্বৈরথ। গত মাসে ইউএস ওপেনের ফাইনালে জকোভিচকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো গ্রান্ড স্ল্যাম শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছেন অ্যান্ডি মারে। সদ্য শেষ হওয়া সাংহাই মাস্টার্সের উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে মারেকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছেন জকোভিচ। আবার টেনিসের শীর্ষ খেলোয়াড় রজার ফেদেরারও টানা দুবারটপকাতে পারেননি অ্যান্ডি মারের বাধা। লন্ডন অলিম্পিকের ফাইনালে ফেদেরারকে হারিয়ে সোনা জিতেছিলেন মারে। সাংহাই মাস্টার্সের সেমিফাইনালেও মারের কাছে হেরেই শেষ হয়েছে ফেদেরারের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন। এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের বিবেচনাতেই হয়তো বর্তমান সময়টাকে টেনিসের স্বর্ণযুগ বলে রায় দিয়েছেন জকোভিচ। সাংহাই মাস্টার্সের শিরোপা জয়ের পর তিনি বলেছেন, ‘এটা খুবইঅসাধারণ ব্যাপার খেলাটার জন্য। আমার মনে হয় আমরা টেনিসের সবচেয়ে ভালো সময়টার অভিজ্ঞতা নিচ্ছি।’ ২০১১ সালে দারুণ একটা বছরকাটিয়েছিলেন নোভাক জকোভিচ। জিতেছিলেন তিনটি গ্রান্ড স্ল্যাম শিরোপা। এবার তাঁর ঝুলিতে জমা হয়েছে মাত্র একটি। সাফল্যখুব বেশি না পেলেও নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্টিই প্রকাশ করেছেন সার্বীয় এই টেনিস তারকা। আর ফেদেরার-নাদাল-মারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের মোকাবিলা করাটাও একটা দারুণ অভিজ্ঞতা বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘এই পর্যায়ে সব কটি ম্যাচেই জেতার আশা করা যায় না। ২০১১ সালের মতো এই বছরটাও আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা সময়। আমি এটা উপভোগই করছি। তাদের বিপক্ষে খেলাটা আমি খুবই উপভোগ করি।’ সাংহাই মাস্টার্স জয়ের মধ্য দিয়ে টেনিস র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানফিরে পাওয়ার কাজটা অনেকখানিই এগিয়ে রেখেছেন জকোভিচ। এই বছরের শেষ নাগাদই হয়তো রজার ফেদেরারকে সরিয়ে শীর্ষে উঠে আসতে পারবেন তিনি। আরএই মুহূর্তে এটাই মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন জকোভিচ। তিনি বলেছেন, ‘এটাই এই মুহূর্তে আমার সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। সাংহাইমাস্টার্সের শিরোপা জয়টা আমাকে অনেক আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। আর এটা শীর্ষস্থানে যাওয়ার জন্য আমাকে অনেক সাহায্য করবে।’