‘অভ্যন্তরীণ কোন্দলের’ জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন।
রোববার নিহত ইকবাল আজাদ সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। ধারালো অস্ত্রে আহত ইকবালকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে আনার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণাকরেন।
সন্ধ্যায় সরাইল উপজেলা সদরে ইকবালের ওপর হামলা হয় বলে জানান ইকবাল সমর্থক আওয়ামী লীগ নেতারা। হামলাকারীরা ইকবালের গাড়ি ভাংচুর করে।আহত হন ইকবালের ছোট ভাই এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের দুই নেতা।
ইকবাল নিহত হওয়ার পর থেকেসরাইল আওয়ামী লীগে উত্তেজনা চলছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। স্থানীয় নেতারা জানান, সরাইলে উপজেলা সভাপতি আব্দুল হালিম ও সাধারণ সম্পাদক রফিক ঠাকুরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি অংশ পরিচালিত হয়। অন্য অংশের নেতৃত্ব দেন ইকবাল আজাদ।
স¤প্রতি ইকবাল সমর্থকদেরহাতে লাঞ্ছিত হন সভাপতি হালিম। তার পর থেকে দুই পক্ষের জন্য উত্তেজনা চলছিল। উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক, ইকবাল আজাদ সমর্থক আশরাফ উদ্দিন মন্তু বিএনএন টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,“সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ইকবাল প্রাইভেটকারে করে সরাইল সদরে যাওয়ার পথে মাহফুজ আলীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তার ওপর চড়াও হয়।”
গত শনিবার রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ আলী অড়–য়াইল ইউনিয়ন যুবলীগেরসভাপতি শফিককে আটক করে মারধর করেন। খবর পেয়ে ইকবাল গিয়ে তার সমর্থক শফিককে ছাড়িয়ে আনেন বলে স্থানীয় নেতারা জানান।
হামলায় ইকবালের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর (৪৫), উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ মেম্বার (৬০) ও উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন (২৫) আহত হয়েছেন। বুকের বাম পাশে বল্লমের গুরুতর আঘাতজনিত কারণে ইকবালের মৃত্যু হয়েছে বলেসিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খানসহ উপস্থিত চিকিৎসকরা জানান।
ইকবালের বাবা আব্দুল খালেক ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। তাকেও প্রতিপক্ষের লোকজন গুলি চালিয়ে হত্যা করে।